আজকাল ওয়েবডেস্ক: কাস্টমসের কাছে হেরে গেল মোহনবাগান। নৈহাটি স্টেডিয়ামে বুধবার কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে মোহনবাগান নেমেছিল ক্যালকাটা কাস্টমসের বিরুদ্ধে। কিন্তু ম্যাচে বলতে গেলে ছিল কাস্টমসেরই প্রাধান্য। গোটা ম্যাচে বাগান ফুটবলারদের প্রায় খুঁজেই পাওয়া যায়নি। জেতার চেষ্টা ফুটবলারদের মধ্যে ছিল কিনা সন্দেহ।
খেলার প্রধমার্ধ ছিল গোলশূন্য। কাস্টমস যাও খেলার চেষ্টা করছিল। মোহনবাগানের খেলা ছিল দিশাহীন। প্রথমার্ধে কোনও দলই সেভাবে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও একই অবস্থা। সেভাবে সুযোগ তৈরি হয়নি। একেবারে শেষে অতিরিক্তি সময়ে রেফারির বাঁশি বাজার এক মিনিট আগে গোল করে কাস্টমস। বাঁদিক থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে বাগান গোলকিপার দীপ্রভাতকে পরাস্ত করেন কাস্টমসের রৌনক পাল। তবে গোল থেকে অতটা এগিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন দীপ্রভাত ঘোষ। না হলে গোল হয় না।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের আগে চাপে গম্ভীর, আইনের মারপ্যাঁচে দলের সঙ্গে যাওয়া না আটকে যায় হেড কোচের...
শেষের দিকে দুটো সুযোগ মোহনবাগানও পেয়েছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। কাস্টমসের কাছে এক গোলে হেরে সুপার সিক্সের আশা কার্যত শেষ সবুজ মেরুনের।
প্রসঙ্গত, কলকাতা লিগের গত ম্যাচে বিএসএসকে ৫–২ গোলে হারিয়ে সুপার সিক্সে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল মোহনবাগান। বুধবার নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেমেছিলেন ডেগি কার্ডোজার ছেলেরা। কিন্তু ম্যাচটা শেষপর্যন্ত ০–১ গোলে হেরে সুপার সিক্সের রাস্তা আরও কঠিন করে তুলল মোহনবাগান।
আরও পড়ুন: ক্যানসারে আক্রান্ত অস্ট্রেলিয়ার এই বিশ্বজয়ী অধিনায়ক, অস্ত্রোপচারের পর কেমন আছেন জানালেন নিজেই
বুধবার সবুজ–মেরুন অধিনায়ক সন্দীপ মালিক চোটের কারণে মাঠে ছিলেন না। অন্যদিকে, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের দলে ছিলেন রবি হাঁসদার মতো তারকা। সুতরাং ম্যাচটা যে সহজ ছিল না, তা সহজেই অনুমেয়। কাস্টমস প্রাণবন্ত ফুটবল উপহার দেয়। ডান দিক থেকে বারবার উঠে এসে রিকি ঘরামি ব্যস্ত রেখেছিলেন সবুজ–মেরুন রক্ষণকে। যদিও প্রথমার্ধে কোনও পক্ষই গোল করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলে ফেরার চেষ্টা করে দুই দলই। বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে শিবম মুণ্ডা। ভাল জায়গা থেকে ফ্রিকিকও আদায় করে সবুজ–মেরুন। কিন্তু কিছুতেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মেলেনি। কাস্টমসও ছেড়ে কথা বলেনি। বরং ৬৯ মিনিটে কাস্টমসকে এগিয়ে দিতে পারতেন ঝন্টু প্রসাদ। তাঁর জোরাল শট অনবদ্য দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন মোহনবাগান গোলকিপার দীপ্রভাত ঘোষ।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া সিরিজে যাওয়ার আগে এই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে রোহিতকে, পাস করতে পারবেন?
সন্দীপ মালিক না থাকায় এদিন সবুজ–মেরুনের নেতৃত্বে ছিলেন দীপ্রভাত। বেশ কয়েকটি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন। ৮০ মিনিটে সুযোগ পেলেও তা থেকে গোল হয়নি মোহনবাগানের। ৮৭ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন পীযূষ ঠাকুরি। তবে, ক্যালকাটা কাস্টমসের রক্ষণের বজ্র আঁটুনির কাছে বারবার আটকে পড়তে দেখা গেল ডেগি কার্ডোজার ছেলেদের। যদিও রৌনক পালের (৯০+৬) শেষ মুহূর্তের গোলে হার স্বীকার করতে হল মোহনবাগানকে। এই পরাজয়ের পর সুপার সিক্সের রাস্তা আরও কঠিন হল মোহনবাগানের।
