আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইএসএলের ভবিষ্যৎ ঘোর অন্ধকারে। কবে শুরু হবে, আদৌ হবে কিনা সেই নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই এবার বড় পদক্ষেপ নিল মোহনবাগান। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল মোহনবাগানের অনুশীলন। শুক্রবার ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে সেটা ফুটবলারদের জানিয়ে দেওয়া হয়। ডার্বি ড্রয়ে সুপার কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ায় পর ফুটবলারদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ১০ নভেম্বর থেকে প্র্যাকটিস শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আপাতত সেটা হচ্ছে না। আইএসএল নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ায়, ফুটবল সংক্রান্ত সমস্ত অপারেশনস আপাতত বন্ধ রাখা হল। 

এদিকে একদিন আগেই জাতীয় দল ঘোষণা করেন খালিদ জামিল। কিন্তু সেই দলে মোহনবাগানের কোনও ফুটবলারকে রাখা হয়নি। এই মুহূর্তে কোনও টুর্নামেন্ট বা ম্যাচ চলছে না। তাই মোহনবাগানের ফুটবলার না ছাড়ার কোনও প্রসঙ্গ নেই। তাসত্ত্বেও মোহনবাগানের ফুটবলারদের জাতীয় দলে রাখা হয়নি। এই নিয়ে সরব হয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ম্যানেজমেন্টের। ফুটবলার না ছাড়া নিয়ে যুক্তি পেশ করা হয়। জানানো হয়, ফুটবলারদের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করাই তাঁদের লক্ষ্য। 

শুক্রবার মোহনবাগানের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি পেশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, 'আমরা সবসময় জাতীয় দলের প্রস্তুতিতে সমর্থন করেছি। ভারতীয় ফুটবলের অগ্রগতিতে সাহায্য করেছি। কিন্তু ফিফার অফিসিয়াল উইন্ডোর বাইরে প্লেয়ারদের ডাকা হয়েছে। এইসব ক্ষেত্রে জাতীয় দলের হয়ে খেলাকালীন কোনও ফুটবলার চোট পেলে, ফিফার নিয়ম অনুযায়ী কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা বা বেতন সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ নেই। ক্লাব হিসেবে ফুটবলারদের স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব। সেই অনুযায়ী ফেডারেশন এবং প্লেয়ারদের আমরা জানিয়ে দিয়েছি, ফিফা উইন্ডোর বাইরে কেউ জাতীয় শিবিরে যোগ দিতে চাইলে, চোট পেলে তার খরচ বহন করতে হবে ফেডারেশন বা সংশ্লিষ্ট প্লেয়ারকে। আমরা জানাতে চাই, ১০ নভেম্বর থেকে জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার ওপর আমরা কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করিনি। জাতীয় দলে মোহনবাগানের ফুটবলারদের না ডাকা সম্পূর্ণ ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত। সেই নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আমরা সকলের সুবিধার কথা ভেবে এগোতে চাই। যার মধ্যে প্লেয়ার, ক্লাব এবং জাতীয় দল অন্তর্ভুক্ত।' আইএসএলকে ঘিরে যে অনিশ্চয়তা চলছে, সেটা নিয়ে অসন্তুষ্ট মোহনবাগান সভাপতি দেবাশিস দত্ত এবং সচিব সৃঞ্জয় বসু।