আজকাল ওয়েবডেস্ক: জয় বা ড্র লক্ষ্য ছিল। কিন্তু জামশেদপুর থেকে খালি হাতে ফিরছেন হোসে মোলিনা। যার ফলে ফাইনালের অঙ্ক কঠিন হল। সোমবার ঘরের মাঠে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। এটাকে চাপ মনে করছেন না বাগান কোচ। বরং জানালেন, ৫০-৬০ হাজার সমর্থকদের সামনে দলের পারফরম্যান্স আরও ভাল হবে। ফিরতি লেগ জিতে ফাইনালে যাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বাগান কোচ। মোলিনা বলেন, 'ঘরের মাঠে খেলা আমাদের কাছে চাপের নয়, বরং আনন্দের। ৫০-৬০ হাজার সমর্থকের সামনে খেলতে দারুণ লাগে। সুতরাং পরের ম্যাচেও কোনও চাপ থাকবে না। সমর্থকদের সামনে আমরা আরও ভাল খেলব। ওরা তিন গোলে জিতলে, সেক্ষেত্রে কঠিন হত। আশা করছি পরের ম্যাচে আমরা জিতব, এবং ফাইনালে যাব।' 

প্রিয় দলের জয় দেখতে কলকাতা থেকে প্রচুর সমর্থক গিয়েছিল জামশেদপুরে। কিন্তু হতাশ হয়েই ফিরতে হচ্ছে। মোলিনা জানান, সব ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। চাপ সামলে ঘরের মাঠে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকবে তাঁর দল। ঘরের মাঠে সমর্থকদের উপস্থিতিতে আরও ভাল ফুটবল উপহার দেওয়ার প্রতিজ্ঞা বাগান কোচের। ২৫ দিন পর খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। হারলেও দলের পারফরম্যান্সে‌ অখুশি নন‌ মোলিনা। চোটের জন্য ছিলেন না মনবীর এবং আপুইয়া। যার ফলে খেলার স্টাইল কিছুটা বদলাতে হয়। হাতে তিনদিন সময় রয়েছে। সোমবার দুই তারকাকে পাওয়া যেতে পারে। প্রথমার্ধে তেমন পজিটিভ সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও, দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। যার খেসারত দিতে হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মোলিনা বলেন, 'দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছি। প্রতিপক্ষ যদি ৬-৭ জন মিলে ডিফেন্ড করে, গোল করা কঠিন হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুটো সুযোগ ছিল। তখনই আমরা ৩-১ গোলে এগিয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু আমরা পারিনি। শেষে আমরা কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল খেলাম।' জামশেদপুরের ফলাফল অতীত। এবার ফোকাস যুবভারতী।