আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ইরানে খেলতে যায়নি মোহনবাগান। সেই কারণে বড় শাস্তির খাঁড়া নেমে এল সবুজ-মেরুনের উপরে। এসিএল-২ থেকে বাদ দেওয়া হল মোহনবাগানকে। হোসে মোলিনার দলের বাকি ম্যাচগুলো বাতিল বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিযোগিতার নিয়ম উল্লেখ করে এএফসি জানিয়েছে, মোহনবাগান তাদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে।
২ অক্টোবর ইরানের ক্লাব ট্র্যাক্টরের সঙ্গে খেলা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু সেই সময়ে যুদ্ধকালীন অবস্থা ছিল ইরানে। পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছিল সে দেশে। ফুটবলারদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ইরানে খেলতে যাননি কামিন্স-দিমিরা। এএফসি-র প্রতিযোগিতার নিয়মানুযায়ী, এসিএল-২ প্রতিযোগিতার ৫.২ ধারা অনুযায়ী, মোহনবাগান টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলেই ধরে নেওয়া হবে।
তাবরিজে মোহনবাগানের সঙ্গে ম্যাচ ছিল ট্র্যাক্টরের। ইরানের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সেই দেশে খেলতে যাওয়া নিরাপদ মনে করেননি সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। সিনিয়র এবং জুনিয়র দলের ফুটবলার মিলে মোট ৩৫ জনের সই করা একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল এএফসিতে। সেই চিঠির কপি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনেও পাঠানো হয়েছে।
প্রতিযোগিতার ৫.৬ ধারা অনুয়ায়ী, মোহনবাগানের খেলা সব ম্যাচগুলো বাতিল বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
টুর্নামেন্টের ৮.৩ ধারা অনুযায়ী, মোহনবাগানের পয়েন্ট এবং গোল আর বিচার্য হবে না। ফলে এসিএল-২-এর 'গ্রুপ এ' কার্যত তিন দলে পর্যবসিত হল।
তবে মোহনবাগানের আশা শেষ হয়ে গেল এমনটা এখনই বলা যাচ্ছে না। পুরো বিষয়টা এএফসির সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে পাঠানো হবে। তারা যদি মনে করে নিরাপত্তাজনিত কারণে মোহনবাগানের ইরানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক, সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বদলাতেও পারে। গ্রুপ এ-তে মোহনবাগান কেবল একটি ম্যাচই খেলেছিল। তাজিকিস্তানের এফসি রাভশানের সঙ্গে মোহনবাগানের ম্যাচটি গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়েছিল।
