আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডার্বি হেরে ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে মোহনবাগান। এবার ফোকাস এএফসিতে। সোমবার থেকে এসিএলের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন হোসে মোলিনা। জাতীয় শিবিরের জন্য ফুটবলার ছাড়ছে না মোহনবাগান। সোমবার লিখিতভাবে সেটা ফেডারেশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, এখন ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার উইন্ডো নয়। তাই প্লেয়ার ছাড়ার বাধ্যবাধকতা নেই। দ্বিতীয়ত, সামনেই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলবে মোহনবাগান। এর আগে জাতীয় দলের জন্য ফুটবলার ছেড়ে বিপদে পড়তে হয়েছে। আগের বছর চোট নিয়ে ফেরেন আশিক কুরুনিয়ান, মনবীর সিং। গোটা মরশুম থেকেই ছিটকে যান আশিক। জাতীয় শিবিরে চোট পান শুভাশিস বসুও। দুই মাসের বেশি মাঠের বাইরে। তাই এএফসিতে নামার আগে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। 

জাতীয় সিনিয়র দল এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলের জন্য মোহনবাগানের মোট ১১ জন এবং ইস্টবেঙ্গলের ৩ জন ফুটবলারকে অবিলম্বে ছাড়ার অনুরোধ জানায় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। ডার্বির একদিন আগেই এই বার্তা পাঠানো হয়। মোহনবাগানের সিনিয়র প্লেয়ারদের মধ্যে রয়েছেন অনিরুদ্ধ থাপা, আপুইয়া, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, সাহাল আব্দুল সামাদ, দীপক টাংরি এবং বিশাল কাইথ। অনূর্ধ্ব-২৩ দল থেকে রয়েছেন দীপেন্দু বিশ্বাস, সুহেল ভাট, অভিষেক সূর্যবংশী এবং প্রিয়াংশ। কাউকেই ছাড়া হচ্ছে না। বরং, সোমবার থেকেই এএফসির প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন মোলিনা। ডার্বি হারের পর একদিনও ফুটবলারদের বিশ্রাম দেননি বাগান কোচ। অন্যদিকে জাতীয় দলের জন্য ফুটবলার ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গলও। ডার্বি জিতে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে লাল হলুদ। বুধবার ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ। জাতীয় সিনিয়র দলের শিবিরের জন্য আনোয়ার আলি, জিকসন সিং এবং নওরেম মহেশকে ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু ডুরান্ডের জন্য ফুটবলার ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গলও। 

প্রসঙ্গত, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র হয়ে গিয়েছে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এশীয় স্তরে গ্রুপ লিগে খেলবে সেপাহান এসসি, আহাল এফসি এবং জর্ডনের আল হুসেইনের বিরুদ্ধে। কোন দলের সঙ্গে কবে খেলা তাও সামনে এসে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এসিএল টুয়ের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে মোহনবাগান। তাঁদের প্রতিপক্ষ তাজিকিস্তানের আহাল এফসি। আহাল প্লে-অফে কোয়ালিফাই করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-খেলছে। তবে ১৬ সেপ্টেম্বর হোম ম্যাচের পর মোহনবাগানকে পরপর দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর মোহনবাগান খেলবে ইরানের সেপাহানের বিরুদ্ধে এবং ২১ অক্টোবর তারা খেলবে জর্ডনের আল হুসেইনের বিরুদ্ধে। ৪ নভেম্বর ফের আল হুসেইনের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে নামবে সবুজ মেরুন। ২৬ নভেম্বর আহাল এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে এবং ২৩ ডিসেম্বর সেপাহানের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ হবে বাগানের। গত বছর যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ইরানে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে যেতে পারেনি মোহনবাগান। তারপর টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যেতে হয়।