আজকাল ওয়েবডেস্ক: আইসিসি-র শাস্তির কবলে মহম্মদ সিরাজ। কিন্তু বেঁচে গেলেন ট্র্যাভিস হেড। অ্যাডিলেডে ট্র্যাভিস হেড ও মহম্মদ সিরাজ জড়িয়ে পড়েছিলেন কথা কাটাকাটিতে।
কিন্তু একই অপরাধ করলেও সিরাজের ম্যাচ ফি-র ২০ শতাংশ কেটে নেওয়া হল। অন্যদিকে অজি ব্যাটার হেডকে আর্থিক জরিমানার সম্মুখীন হতে হল না। হেডকে সতর্ক করে একপ্রকার ছেড়ে দেওয়া হল। এর পরে সিরাজের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য কৌতূহলী হয়ে ওঠেন সাংবাদিকরা।
এক সাংবাদিক সিরাজকে জিজ্ঞাসা করেন সেই প্রসঙ্গে। সিরাজ এড়িয়ে যান সেই প্রশ্ন। জবাব দেন, ''হ্যাঁ, সব ঠিক আছে।'' তাঁকে পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি কি এই শাস্তিতে হতাশ? সিরাজ সেই প্রশ্নও উড়িয়ে দিয়ে জবাব দেন, ''আমি এখন জিমে যাচ্ছি।''
সিরাজ তাঁর শাস্তি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। ব্রিসবেন টেস্টের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ক্রিকটমহলে প্রশ্ন একটাই। একই অপরাধের জন্য সিরাজ ও হেডের শাস্তি ভিন্ন ভিন্ন হল কেন?
সিরাজ ও হেডকে ভিন্ন ভিন্ন ধারায় শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ভারতের তারকা পেসার ২.৫ ধারা লঙ্ঘন করেছেন বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে অজি তারকা কোড অফ কন্ড্যাক্টের ২.১৩ ধারা লঙ্খন করেছেন বলে জানানো হয় আইসিসি-র তরফে।
দুই তারকার জন্য দুই ধারা প্রয়োগ করায় শাস্তিও ভিন্ন ভিন্ন হয়েছে। অঙ্গভঙ্গি, কথাবার্তা, আগ্রাসী আচরণ বা কাউকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার ২.৫ ধারা লঙ্ঘন করেছেন বলে ধরা হয়।
অন্য দিকে ২.১৩ ধারা লঙ্ঘন করার অর্থ সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে গালমন্দ করেছেন বা আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারকে গালিগালাজ করেছেন।
অর্থাৎ ২.৫ ধারা লঙ্ঘন করলে আর্থিক জরিমানার কবলে পড়েন সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার। অন্যদিকে ২.১৩ ধারা লঙ্ঘন করেছেন কেউ ধরা হলে, তাঁর উপরে আর্থিক জরিমানা আরোপ করা হয় না। এই কারণেই দুই ক্রিকেটারের শাস্তি দু' রকম হয়েছে।
