আজকাল ওয়েবডেস্ক: নেতৃত্ব বদলের ডাক দিলেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক মিতালী রাজ। মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে হরমনপ্রীত কৌরের দল। তার পরই ক্যাপ্টেন বদলানোর দাবি করলেন মিতালী। অপেক্ষাকৃত তরুণ কারওর হাতে দলের রিমোট কন্ট্রোল তুলে দেওয়া হোক বলে জানিয়েছেন মিতালী।
তিনি বলেছেন, ''নির্বাচকরা যদি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আমি নতুন ক্যাপ্টেনের কথাই বলব। এটাই ক্যাপ্টেন্সি বদলানোর উপযুক্ত সময়। বেশি দেরি করে ফেললে আরও একটি বিশ্বকাপ এগিয়ে আসবে।''
হরমনপ্রীত সরে গেলে কার হাতে মহিলা দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া উচিত? মিতালীর বাজি জেমাইমা রডরিগেজ। মিতালী ব্যাখ্যা করে বলছেন, ''জেমাইমা এই টুর্নামেন্টে আমাকে মুগ্ধ করেছে। যদিও সবসময়ে ভাল শুরু করেও বড় ইনিংস গড়তে পারেনি। কিন্তু যখনই দলের দরকার, তখনই চেষ্টা করেছে।''
তারুণ্য, এনার্জি, সতীর্থদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং চারিত্রিক দৃঢ়তার জন্য মিতালী আলাদা করে জেমাইমার কথা বলছেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ওভারে হরমনপ্রীতের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শেষ ওভারে ১৪ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। স্ট্রাইকে ছিলেন হরমনপ্রীত। ততক্ষণে অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন ভারত অধিনায়ক। আশা করা গিয়েছিল, শেষ ওভারে স্ট্রাইক ধরে রেখে দলকে জয় এনে দেবেন হরমন। কিন্তু প্রথম বলেই রান নেন। স্ট্রাইক পান পূজা ভস্ত্রকার। পরপর ৪ উইকেট হারায় ভারত। চতুর্থ বলে স্ট্রাইক ফিরে পান ভারত অধিনায়ক। আবার এক রান নিয়ে শ্রেয়াঙ্কাকে স্ট্রাইক দেন। ২ বলে ১২ রান দরকার ছিল। কিন্তু ওয়াইড বলে রান আউট হন শ্রেয়াঙ্কা। পরের বলেই আউট রাধা যাদব।
নিজে শেষ ওভার না খেলে, বাকিদের স্ট্রাইক দেওয়া নিয়ে সমালোচনার ঝড় চলছে। ক্রিজে সেট ব্যাটার তিনিই ছিলেন। তারওপর ৫০ রান সম্পূর্ণ করে ফেলেছিলেন। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। এরকম পরিস্থিতিতে উতরে দিতে একমাত্র তিনিই পারতেন। কিন্তু চাপের মুখে জুনিয়রদের ঠেলে দেওয়া ভালভাবে নেয়নি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কেন হরমনপ্রীত নিজে স্ট্রাইক রাখেননি, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
