আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতই ফেভারিট। কিন্তু খেলাটা তো ক্রিকেট। এবং ফাইনাল এক ম্যাচের। তাই যা কিছু ঘটতেই পারে। কারণ ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা। তাই ভারত ফেভারিট হলেও মিসবা উল হক মনে করেন রবিবারের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তানের হাতে উঠতেই পারে এশিয়া কাপ।

এশিয়া কাপে ৪১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১৫ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। ভারত জিতেছে ১২ বার। পাকিস্তান ৩ বার। এশিয়া কাপে তো ভারতের তাণ্ডব চলছে। মিসবা বলছেন, ''পাকিস্তানের হারানোর কিছু নেই। ভারত ফেভারিট। কেবল একটি দিন। একটি ম্যাচের ব্যাপার। আশা রাখি দিনটা পাকিস্তানের জন্য ভাল যাবে, ভারতের জন্য খারাপ হবে।''

আরও পড়ুন:  এশিয়া কাপ ফাইনালের আগে গুরুত্বপূর্ণ এই কাজটাই করলেন না অভিষেকরা? কিন্তু কেন?

রবিবাসরীয় রাতে অভিষেক শর্মা বনাম শাহিন আফ্রিদি ডুয়েল! এই দ্বৈরথ গড়ে দিতে পারে এশিয়া কাপের ফাইনালের ভাগ্য। এমনই ধারণা ভারতের বোলিং কোচ মর্নি মরকেলেরদু'জনের সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। এর আগে পাকিস্তানের বোলিং পরামর্শদাতা ছিলেন মরকেল। সেখানে বাঁ হাতি পেসারকে কোচিং করিয়েছেন। তিনি মনে করছেন, অভিষেক এবং শাহিনের দ্বৈরথ দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। মরকেল বলেন, 'শাহিন আগ্রাসী বোলার। ও যেকোনও ব্যাটারকে সমস্যায় ফেলতে পারে। অভিষেকও অপেক্ষা করবে না। আমার মনে হয়, এই দু'জন সামনাসামনি হলেই লড়াই উপভোগ্য হয়ক্রিকেটপ্রেমীরা এই দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষা করে। যা খেলার জন্য ভাল।'

দু'জনের বয়স ২৫। বেশ কয়েক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপটের সঙ্গে খেলছেন শাহিন। অন্যদিকে অনবদ্য স্ট্রোক প্লে দিয়ে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন অভিষেক। বিশেষ করে এশিয়া কাপে। ছয় ম্যাচের একটিতেও ব্যর্থ হননি। তারমধ্যে রয়েছে তিনটে অর্ধশতরান এবং তিনটে ৩০ এর বেশি রান। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুটো ম্যাচে শাহিনকে বেধড়ক পেটান অভিষেক। প্রথম ম্যাচে ফুল টস বলে চার মেরে শুরু করেন অভিষেক। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান। টিম ইন্ডিয়ার বোলিং কোচ দুই তারকার দ্বৈরথের অপেক্ষায়। এই লড়াই উপভোগ করতে চান প্রাক্তন প্রোটিয়া পেসার। প্রসঙ্গত, গত রবিবার ভারত-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচে অশান্তির রেশ ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরেও। দুই দেশের ক্রিকেটাররাই মেজাজ হারায়। বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি করেন সাহিবজাদা ফারহান এবং হ্যারিস রউফ। ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে, শাহিন আফ্রিদি এবং হ্যারিস রউফের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ান অভিষেক শর্মা এবং শুভমন গিল।

ওভারের শেষ বলে রউফকে ছয় মারার পরই মেজাজ হারান পাকিস্তানের পেসার। নন স্ট্রাইকারের দিকে ছিলেন অভিষেক। রউফকে শান্ত হতে বলেন তিনি। তাতেই আরও চটে যান পাক পেসার। সেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন গিলওশেষমেষ আম্পায়ারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ভাবা হচ্ছে, পরিস্থিতি শান্ত করতে রিঙ্কুকে পাঠান গৌতম গম্ভীর। এশিয়া কাপের ফাইনালে তেমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি চাইবে না কোনও দলই।

আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে দারুণ ছন্দে অভিষেক, কোহলিকে ছাপিয়ে নতুন রেকর্ডের মালিক বাঁ হাতি ওপেনার ...