আজকাল ওয়েবডেস্ক: লোকে তাঁকে 'ক্যাপ্টেন কুল' বলে। কিন্তু তিনি সবসময়ে মোটেও 'কুল' নন। আইপিএলের আগে সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটিং কোচ মাইকেল হাসি। 

২০১৮ সালের আইপিএলের কোয়ালিফায়ার-১-এ মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। হায়দরাবাদ দলে ছিলেন রশিদ খানের মতো স্পিনার। তাঁকে কীভাবে সামলানো যাবে, তা নিয়ে হাসি কিছু বার্তা পাঠিয়েছিলেন তাঁর দলের ক্রিকেটারদের। সেই তালিকায় ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিও। কিন্তু হাসির পরামর্শ মতো রশিদ খানকে সামলাতে গিয়ে নিজের উইকেট খোয়ান ধোনি। তার পরই ধোনি-বিস্ফোরণ। যার জেরে মাইকেল হাসি ভেবেছিলেন চেন্নাইয়ের চাকরি তাঁর গেল বোধহয়। 

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১৪০ রান করে। সেই রান তাড়া করতে নেমে সিএসকে একসময়ে ২৪ রানে ৩ উইকেট হারায়। এদিকে ৩.৪ ওভার অতিক্রান্ত চেন্নাইয়ের ইনিংসের। 

রশিদ যখন বল করতে আসেন, তখন ধোনি খেলে ফেলেছেন ১৬টি বল। প্রথম বলে সিঙ্গল নেন ধোনি। তার পরে রশিদের গুগলিতেই ঠকে যান ধোনি। তাঁর স্টাম্প ভেঙে যায়। হাসির শেষ মুহূর্তের পরামর্শেই ধোনি বুঝতে পারেননি রশিদ খানের ডেলিভারি। তার পরের ঘটনা হাসি বলছেন, ''আমরা বিনা কারণে চার উইকেট হারিয়ে ফেলি। ফ্যাফ ডু প্লেসিস ও ধোনি ব্যাট করছিল। রশিদের প্রথম বলটায় সিঙ্গল নেয়। কিন্তু রশিদের গুগলিটা কভার ড্রাইভ মারতে গিয়েছিল ধোনি। স্পিনের বিরুদ্ধে গিয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়। আউট হয়ে ডাগ আউটে ফিরে আসে ধোনি। তার পরে সটান আমার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে, আমি আমার মতো করে ব্যাটিং করব।  তার পরেই আমার পাশের চেয়ারে বসে পড়ল। আমি তো ভাবলাম চেন্নাইয়ের চাকরিটা গেল বোধহয়।'' সে সব অবশ্য হয়নি। ম্যাচটা ৫ বল বাকি থাকতে চেন্নাই জিতে নেয় ২ উইকেটে। হাসি বলেন, ''ধোনি দুর্দান্ত। খেলার শেষে আমার কাছে এসে ধোনি বলে, তুমি যে তথ্য দিয়েছিলে, তা বেশ ভাল। তবে আমার একটু সময় দরকার। আরও কয়েকটা নেট সেশন দরকার।''