আজকাল ওয়েবডেস্ক: সৌদি আরবের জেদ্দায় মেগা নিলামে অর্জুন তেন্ডুলকরকে কেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথম রাউন্ডে অবিক্রিত থাকার পর, দ্বিতীয় রাউন্ডে বেস প্রাইজ ৩০ লক্ষতে শচীন পুত্রকে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এতেই বিভক্ত নেটমাধ্যম। একাংশের দাবি, অর্জুনের মুম্বইয়ে যাওয়ারই ছিল। আবার অনেক ফ্যান মনে করছেন, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর শচীন। তার প্রভাব নিলামে পড়েছে। টানা চারবার তাঁকে রাখল মুম্বই। ২০২১ সালে ২০ লক্ষ টাকার বেস প্রাইজে অর্জুনকে নেওয়া হয়। সেই বছর চোটের জন্য আইপিএল থেকে ছিটকে যান। ২০২২ সালেও অর্জুনের ওপর আস্থা রাখে মুম্বই। তাঁকে ৩০ লক্ষতে নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় দিনের নিলামে শচীন পুত্রকে মুম্বই কেনার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং শুরু। সকলে ধরেই নেয়, বাবার কোটায় সুযোগ পেয়েছেন অর্জুন। মিমের বন্যা বয়ে যায়। এক্স হ্যান্ডেলে একজন লেখেন, 'অর্জুন তেন্ডুলকরকে মুম্বই কিনেছে ভগবানের ছেলের বার্ষিক পকেটমানি যোজনায়।' আরেকজন লেখেন, 'আম্বানির লাডলা বেটা যোজনায় প্রতিবছর অর্জুন তেন্ডুলকরকে কেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।' একজন পৃথ্বী শয়ের প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, 'পৃথ্বী অর্জুনের থেকে ভাল প্লেয়ার হওয়া সত্ত্বেও বিক্রি হয়নি। নেপটিজমের চূড়ান্ত।'
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে আইপিএলে শচীন পুত্রের হাতেখড়ি হয়। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে প্রথম উইকেট পান। আউট করেন ভুবনেশ্বর কুমারকে। মুম্বইয়ের ১৪ রানে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। সেই আইপিএলে ৩ উইকেট পান। ২০২৪ সালেও তাঁকে রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু হতাশ করেন অর্জুন। খুব বেশি সুযোগ পাননি ঠিকই। কিন্তু যা পেয়েছেন, সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। তাসত্ত্বেও তাঁকে পরপর চারবার মুম্বই নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
