আজকাল ওয়েবডেস্ক: আন্তর্জাতিক ফুটবলে অন্যতম তারকা লিওনেল মেসি যোগ দেওয়ার পর ইন্টার মায়ামি তাদের ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবার এমএলএস কাপ জিতে নিল।
শনিবার ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলের চেইস স্টেডিয়ামে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে মায়ামি।
দুটি গোলে অ্যাসিস্ট ও আরেকটি গোল তৈরিতে নেপথ্য ভূমিকা রেখে দর্শকদের উন্মাদনা ছড়িয়ে দেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে এমএলএস কাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়ে মেসি বলেন, ‘এটাই সেই মুহূর্ত, যার জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম, আর আমরা দল হিসেবে অপেক্ষা করছিলাম।’
ইন্টার মায়ামি ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় এডিয়ের ওকাম্পোর আত্মঘাতী গোলে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আলি আহমেদের গোল ভ্যাঙ্কুভারকে সমতায় ফিরিয়ে আনে।
খেলার মোড় ঘুরে যায় এরপরই। ক্লাসিক মেসির অ্যাসিস্ট থেকে আর্জেন্টিনা সতীর্থ রদ্রিগো দে পল গোল করে মায়ামিকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন।
ইনজুরি টাইমে তাদেও আলেন্দের গোলও আসে মেসির পাস থেকেই, যা নিশ্চিত করে মায়ামির ঐতিহাসিক শিরোপা। মায়ামির এই প্রথম এমএলএস জয় যথার্থ পুরস্কার ক্লাব কো-ওনার ডেভিড বেকহ্যামের দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণে।
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা বেকহ্যাম ম্যাচ শেষে বলেন, ‘অনেক নিদ্রাহীন রাত গেছে, কিন্তু আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সেরা দল গড়ব, সেরা খেলোয়াড় আনব। আজ সেটা বাস্তব রূপ নিল।’
আলি আহমেদের সমতাসূচক গোলের পর মুহূর্তেই ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ভ্যাঙ্কুভার। এমমানুয়েল সাবির পরপর দুটি শট পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়।
তবে ৬২ মিনিটে গোল দিতে না পারার খেসারত দেয় তারা। মিডফিল্ডার আন্দ্রেস কুবার একটি ভুলের সুযোগ নিয়ে মেসি বল কেড়ে নেন এবং ডি পলকে দিয়ে গোল করান।
সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি থমাস মুলারের নেতৃত্বাধীন কানাডিয়ান দলটি। হোয়াইটক্যাপস কোচ জেসপার সোরেনসেন বলেন, ‘আমরা কিছু ভুল করেছি, আর তারা সেই সুযোগ নিয়েছে। মেসির মতো খেলোয়াড় থাকলে ছোট মুহূর্তেও ম্যাচের ফল বদলে যায়।’
২০২০ সালে লিগে যাত্রা শুরু করা ইন্টার মায়ামির জন্য এই শিরোপা হলো ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন। বিশেষ করে ২০২৩ সালে মেসিকে দলে নিয়ে আসার পর।
তবে এই ম্যাচ খেলেই বুট তুলে রাখলেন মেসির ফুটবল কেরিয়ারে দীর্ঘদিনের সতীর্থ জডি আলবা এবং সার্জিও বুস্কেটস।
অবসরে যাওয়া দুই সতীর্থকে জিতিয়ে বিদায় দিতে পেরে আবেগপ্রবণ মেসি বলেন, ‘এটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্যগুলোর একটি ছিল। ফুটবল ইতিহাসের সেরা দুই খেলোয়াড়কে সেরা বিদায় দেওয়া। দলের সবাই মিলে তাদের বিদায়টা স্মরণীয় করে তুলেছে।’
