আজকাল ওয়েবডেস্ক: আর কতদিন বসিয়ে রাখবেন? ধারাভাষ্যকাররা কি গৌতম গম্ভীরকে প্রশ্ন করলেন? হয়তো তাই। কুলদীপ যাদবের বল খেলতে হিমসিম অবস্থা সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ব্যাটারদের। কুলদীপের গুগলি ধরতে পারলেন না। তাঁর স্পিন আগে থেকে পড়তেই পারলেন না আমিরশাহি ব্যাটাররা। কুলদীপ এশিয়া কাপে নেমে সফল। অথচ এই কুলদীপকেই ইংল্যান্ড সফরে নামাতেই চাননি শুভমান গিল-গৌতম গম্ভীর। গোটা দেশে শুরু হয়ে গিয়েছিল চর্চা। কুলদীপকে খেলাও, টেস্ট বাঁচাও। গম্ভীর শোনেননি। এশিয়া কাপে আমিরশাহির বিরুদ্ধে কুলদীপ নামলেন, চারটি উইকেট নিলেন। ২.১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৭ রানের বিনিময়ে চারটি উইকেট নেন কুলদীপ।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট না করে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। তাঁর সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক, তা বোঝা গেল ভারতের বোলিং দেখে। একসময়ে আমিরশাহির রান ছিল বিনা উইকেটে ২৬। কিন্তু ৫২ রানে পড়ে যায় সাতটি উইকেট। শেষমেশ ১৩.১ ওভারে আমিরশাহি শেষ হয়ে যায় ৫৭ রানে। ইউএই-র দুই ওপেনার শারাফু ও মহম্মদ ওয়াসিম কেবল দুই অঙ্কের রান করেন। বাকিরা এলেন আর গেলেন। এটাই ভারতের বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন রান কোনও দলের।
বুমরাহ শুরুটা করেন। তার পরে ভারতের তিন স্পিনার-কুলদীপ, বরুণ ও অক্ষর উইকেট তুলে নেন। শিবম দুবের কথা মর্নি মর্কেল বলেছিলেন, তাঁকে চার ওভার করে বল করতে দেখা যাবে। দুবে নেন তিনটি উইকেট। হার্দিক পাণ্ডিয়া একটি উইকেটও পাননি।
ভারতীয় বোলারদের দাপটে আমিরশাহির ব্যাটাররা কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারলেন না। তাঁদের রান আন্তর্জাতিক ফোন কোডের নম্বর বলে ভ্রম হতে পারে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটা ভারতের কাছে ওয়ার্ম আপ ছাড়া আর কিছু নয়। ভারত যে খুব সহজেই ম্যাচটা জিতে নেবে তা সবাই জানতেন। তাই বলে ৫৭ রানে শেষ হবে। ভারতের জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা। বিশেষজ্ঞ অজয় জাদেজা বললেন, ''এশিয়া কাপ অনেক বড় টুর্নামেন্ট। ভাবা উচিত আমিরশাহির। দু-তিন জন ছাড়া কোনও ইউএই ব্যাটারের মধ্যে প্রতিভা দেখলাম না।''
ভারত প্রথম ম্যাচে নামার আগে ভারতের প্রাক্তন তারকা রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেছিলেন, ''দক্ষিণ আফ্রিকাকে এই টুর্নামেন্টে নেওয়া যেতে পারে। এশিয়া কাপকে আফ্রো-এশিয়া কাপের রূপ দেওয়া যেতে পারে। আমার মতে ভারত-এ দলকে নিয়ে এই টুর্নামেন্ট করা উচিত।''
অশ্বিনের সংযোজন, ''আমি আশা করব, অন্য কোনও দল যেন এই টুর্নামেন্ট জেতে। তাহলে এশিয়া কাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে।'' ভারতকে হারানো কীভাবে সম্ভব? অশ্বিন উপায় বাতলাচ্ছেন, ''ভারতকে হারানোর একমাত্র উপায় হতে পারে, নিজেদের দিনে ভারতকে ১৫৫ রানে আটকে রাখা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যখন যা খুশি হতে পারে। তবে মনে হচ্ছে ভারত এই টুর্নামেন্টকে একতরফা বানিয়ে ফেলবে।'' আমিরশাহির পক্ষে ১৫৫ রান করা সম্ভবই নয়, সেটাই দেখা গেল।
