আজকাল ওয়েবডেস্ক: রামধনুর মতো বাঁক খাওয়ানো সুইংয়ে পাকিস্তানের তারকা ব্যাটাররা কুপোকাত। ২০০৬ সালে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সলমন বাট, ইউনিস খান ও মহম্মদ ইউসুফকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ইরফান পাঠান। তবুও সেটা নাকি তাঁর পছন্দের মুহূর্ত নয়। প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক একমাত্র পাঠানই করেছেন। সেই রেকর্ড এখনও পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেননি।
কিন্তু স্মরণীয় মুহূর্তের ঝাঁপি খুলতে বসলে পাঠান অন্য পারফরম্যান্সের কথা তুলে ধরলেও করাচি টেস্টের প্রথম ওভারে হ্যাটট্রিকের প্রসঙ্গ টানেন না। কেন? বাঁ হাতি প্রাক্তন পেসার বলেন, ''পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওই হ্যাটট্রিক আমার জীবনের মোটেও স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর মধ্যে পড়ে না। ওই ম্যাচ নিয়ে আমি বেশি কথাও বলি না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে আমি খুশি মনে কথা বলি। ২০০৪ সালে ১৯ বছর বয়সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে আমি তিন উইকেট নিয়েছিলাম। সেটা অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত। সেই ম্যাচের কথা বলি আমি। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে পারথ টেস্টে ম্যাচের সেরা হয়েছিলাম। সেই ম্যাচ নিয়ে কথা বলি। কারণ ওই ম্যাচগুলোয় আমরা জিতেছিলাম।''
আরও পড়ুন: এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-তে ভারতের দুই ক্লাব, গোয়া ও মোহনবাগানের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ কারা? ...
পাঠানের মতে, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে বলতে তখনই ভাল লাগে, যখন দল জেতে। তাঁর কথায়, ''যে ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলাম, সেই ম্যাচটা আমরা জিতিনি। মানুষের অবশ্য পছন্দ সেই ম্যাচ। ওই হ্যাটট্রিকের ভিডিও আমাকে পাঠান অনেকে। ওই তিন ব্যাটসম্যান কুড়ি হাজারের বেশি রান করেছিল। বল যেভাবে সুইং করছিল, তা দৃষ্টিনন্দন ছিল। সেই কারণেই ভক্তরা পছন্দ করেছিল ওই হ্যাটট্রিক।''
এদিকে, রোহিত শর্মাকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন ইরফান পাঠান। দাবি, অধিনায়ক না হলে ২০২৪ সালের শেষদিকে টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া কঠিন হত তাঁর। বছরের শেষে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে রোহিতের খারাপ পারফরম্যান্সের কথা তুলে ধরেন। প্রথম টেস্টে খেলেননি। পরের তিন টেস্টে গড় ৬.২০। সিডনিতে ফাইনাল টেস্টে নিজেই সরে দাঁড়ান। একটি সাক্ষাৎকারে পাঠান বলেন, 'সাদা বলের ক্রিকেটে রোহিত দারুণ প্লেয়ার। কিন্তু সেই বছর টেস্ট ক্রিকেটে ওর গড় ৬ ছিল। তাই আমরা বলাবলি করছিলাম, ও অধিনায়ক না হলে, টেস্ট দলে জায়গা পেত না। আমরা বলেছিলাম ওর লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত। তবে আবারও বলছি, প্রথম একাদশে ওর জায়গা পাওয়া উচিত ছিল না। অধিনায়ক না হলে, ওকে দল থেকে আগেই ছেঁটে ফেলা হত।'
ভারতের প্রাক্তনী মনে করেন, রোহিত যথেষ্ট সমর্থন পেয়েছেন। যেদিন হিটম্যান সিডনি টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, তখন ইরফান পাঠান এবং যতীন সাপরুকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন। অনেকে মনে করেন, সেদিন পাঠান প্রয়োজনের তুলনায় বেশি রোহিতকে সমর্থন করেন। এই নিয়ে ক্রিকেট মহলে কথাও হয়। এদিন সেই নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন অলরাউন্ডার। পাঠান বলেন, 'লোকে বলে আমরা রোহিত শর্মাকে খুব বেশি সমর্থন করেছি। কেউ যদি সম্প্রচারকারী চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে আসে, আমরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে পারি না। তাই না? আমরাই ওকে সাক্ষাৎকারের জন্য আমন্ত্রণ জানাই। তাই ভদ্র ব্যবহার করতেই হয়। কারণ ও আমাদের অতিথি।'
আরও পড়ুন: নতুন দলের হয়ে অভিষেক হবে পৃথ্বী শর, সামনে কোন টুর্নামেন্ট?
