আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরও একটা পালক লিওনেল মেসির মুকুটে। কলকাতায় পা রাখার আগে  মেজর লিগ সকারের এমভিপি অর্থাৎ মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারের পুরস্কার জিতে নিলেন আর্জেন্টাইন মহানায়ক। এবার নিয়ে পর পর দ্বিতীয়বার এমএলএস-এর সব থেকে মূল্যবান ফুটবলার তিনি।

 মেসি মানেই রেকর্ড। মেসি মানেই বল পায়ে ম্যাজিক। আবার মেসি মানেই একের পর এক পুরস্কার। অবিশ্বাস্য সব নজির গড়েন তিনি। মেজর লিগ সকারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার যেমন। এমএলএসের তিন দশকের ইতিহাস তুলে ধরছে এক অন্য তথ্য। এই তিরিশ বছরে মেসিই একমাত্র ফুটবলার যিনি টানা দু'বার এই পুরস্কার জিতলেন। তাঁর আগে ১৯৯৭ ও ২০০৩ সালে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন প্রেকি। 

কেরিয়ারের এই পড়ন্ত বেলাতেও মেসি ছড়িয়ে দিচ্ছেন সোনালী রোদ্দুর। আগামী বিশ্বকাপেও তাঁর বাঁ পায়ের জাদু দেখতে মুখিয়ে সবাই। সেই মেসিই ইন্টার মায়ামির হয়ে ট্রফি জিতছেন। জিতে নিচ্ছেন পুরস্কার। 

চলতি বছরের মেজর লিগ সকারের সেরা খেলোয়াড় হন মেসি। সাপোর্টার্স শিল্ড এবার ইন্টার মায়ামির শো কেসে জায়গা পায়নি। তবে এমএলএস কাপ ঘরে তুলেছে মেসির দল। 

মেসি যে দলের সম্পদ, সেই দল যে মাঠে নেমে ফুল ফোটাবে, তা বলাই বাহুল্য। মাঠে তাঁর ছড়িয়ে দেওয়া জাদু ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

রবিবার হোয়াইট ক্যাপসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার মেজর লিগ সকার খেতাব জিতে নেয় মায়ামি। অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি।  আবার গোটা টুর্নামেন্টেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। তিনি পাস বাড়িয়েছেন, নিজে গোল করেছেন। 

মেজর লিগ সকারের ২৮টি ম্যাচে ২৯টি গোল করে মেসি দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি ছন্দেই রয়েছেন। আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনিকে স্বস্তি দেবে মেসির ফর্ম। 

মেজর লিগ সকারের মোস্ট ভ্যালুয়েবল পুরস্কারটি ল্যান্ডন ডোনোভানের নামে। এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ১৯৯৬ সাল থেকে। ফুটবলার, টেকনিক্যাল স্টাফ এবং সংবাদ মাধ্যমের ভোটে সংশ্লিষ্ট ক্লাবের সব থেকে মূল্যবান খেলোয়াড়কে বেছে নেওয়া হয়। সেই পুরস্কারই মেসি পরপর দু'বার পেলেন। 

মোট ভোটের ৭০.৪৩ শতাংশ পেয়ে মেসি বহু মাইল পিছনে ফেলে দিয়েছেন সান দিয়েগো এফসি-র আন্দ্রেজ ড্রেয়ারকে (১১.১৫%)।