আজকাল ওয়েবডেস্ক: লুইস সুয়ারেজ ডক্টর জেকিল। আবার তিনিই মিস্টার হাইড। লিগস কাপের ফাইনালে মিস্টার হাইড হিসেবে ধরা দিলেন সুয়ারেজ। ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল সিয়াটল সাউন্ডার্স ও ইন্টার মায়ামির। সেই ম্যাচে সিয়াটল ৩-০ গোলে হারাল ইন্টার মায়ামিকে। কিন্তু ম্যাচের ফলাফলের থেকে বেশি করে চর্চা হল সুয়ারেজকে নিয়ে। তিনি প্রতিপক্ষ দলের সাপোর্ট স্টাফের মুখে থুতু ছেটালেন। মেসি-সুয়ারেজ থাকতেও ম্যাচটায় হার মানতে হল ইন্টার মায়ামিকে।
Ok, mls needs to do something about this.
— Goal_yay (@Goal_yay)
Suarez spit on a Seattle coaching staff, and went up to a Seattle staff and put him in a headlock. And Maimi escalated the fight.
MLS wake up. pic.twitter.com/mzmDf274MoTweet by @Goal_yay
খেলার শেষে দুই দলের ফুটবলাররা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। সুয়ারেজ ও সিয়াটলের ২০ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ওবেদ ভারগাস সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: ফের চোটের কবলে সামি, জাতীয় দলে ফেরা ক্রমশই কঠিন হচ্ছে বঙ্গপেসারের ...
তার পর তা ছড়িয়ে পড়ে বাকিদের মধ্যে। ম্যাচ অফিসিয়ালরা দুই দলের ফুটবলারদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। সেই সময়ে টেলিভিশন ক্যামেরায় ধরা পড়ে সুয়ারেজ সিয়াটলের এক সাপোর্ট স্টাফের মুখে থুতু দেন।
ইন্টার মায়ামির কোচ জ্যাভিয়ার মাসচেরানো স্বীকার করে নেন সুয়ারেজ মেজাজ হারিয়ে এই কাজ করেছেন। কিন্তু সেই বিষয় নিয়ে বিশদে বলতে চাননি।
তিনি রিপোর্টারদের বলেছেন, ''খেলার শেষে কেউই এই ধরনের ঘটনা প্রত্যাশা করে না। তবে প্ররোচনা নিশ্চয় ছিল, সেই কারণে এমন প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।''
দু'দলের মধ্যে ঝামেলা হওয়ায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বিলম্বিত হয়। তবে সুয়ারেজের থুতু দেওয়ার ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে চিয়েলিনিকে কামড়ানোর কথা। ২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালির ডিফেন্ডার চিয়েলিনিকে কামড় বসিয়েছিলেন সুয়ারজে।
শুধু যে তিনি প্রতিপক্ষের ফুটবলারকে কামড়েছেন তা নয়, সতীর্থকেও কামড়েছেন উরুগুয়ের তারকা। লস এঞ্জেলেসের বিরুদ্ধে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে সতীর্থ জর্ডি আলবার আঙুলে কামড় বসান সুয়ারেজ। এহেন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
Luis Suárez appeared to spit on a Seattle staff member after the final whistle in the Leagues Cup Final ????
— FOX Soccer (@FOXSoccer)
????: @MLS pic.twitter.com/gCMLdbwDlCTweet by @FOXSoccer
ভিডিওয় দেখা গিয়েছে জটলার মধ্যে সতীর্থ আলবার কাঁধে হাত দিয়ে জোরে চাপ দেন সুয়ারেজ। এতে ব্যথা পেয়ে আলাবা তার হাত উঁচু করলে আঙুলে কামড় বসান উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। খেলার মধ্যে সুয়ারেজ আগেও সমস্যা তৈরি করেছেন। কেরিয়ারের সায়াহ্নে পৌঁছলেও দেখা যাচ্ছে সুয়ারেজ একই রয়েছেন।
২০১০ সালে আয়াক্সে খেলার সময়ে উসমান বাক্কালকে কামড়ে ছিলেন সুয়ারেজ। সাত ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে লিভারপুলে খেলার সময় চেলসির ব্রানিসলাভ ইভানোভিচকে কামড়ে ১০ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন উরুগুয়ান তারকা। চিয়েলিনিকে কামড়ানোয় ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা নেমে এসেছিল। এবার প্রতিপক্ষের কোচকে থুতু ছেটানোয় কী শাস্তি পান সুযারেজ, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: মহিলা বিশ্বকাপের পুরস্কারমূল্য ঘোষণা করল আইসিসি, হরমনপ্রীতরা জিতলে কত টাকা পাবেন জানেন?
