আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ যুগরাজ সিং। ভারতীয় হকির নিউ সেনসেশন। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে তাঁর গোলেই চীনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। 


ফাইনালে প্রথম তিনটি কোয়ার্টারে ভারত গোল করতে পারেনি। ৫১ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন যুগরাজ। ২৭ বছরের সেন্টার ব্যাক যুগরাজ বড় একটা আক্রমণে যান না। কিন্তু ফাইনালে তিনিও নায়ক হয়ে উঠেছিলেন। 


ভারতীয় হকিতে তাঁর উত্থান চমকে দেওয়ার মতো। একটা সময় আটারি–ওয়াঘা সীমান্তে জাতীয় পতাকা ও জলের বোতল বিক্রি করতেন যুগরাজ। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। 


যুগরাজের বাবা সুখজিত সিং ৩০ বছর ধরে কুলির কাজ করেছেন। আর যুগরাজ ছোটবেলা থেকেই নানা কাজে ছিলেন সিদ্ধহস্ত। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুগরাজের বাবা বলেছেন, ‘‌কঠিন পরিশ্রম ছাড়া কিছুই বুঝতাম না। কিন্তু ছেলে আমাকে ও পরিবারকে গর্বিত করেছে। পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার জন্য ভারত–পাক সীমান্তে জাতীয় পতাকা ও জলের বোতল বিক্রি করত ছেলে। কিন্তু আজ ও কোথায় পৌঁছে গেছে দেখলে গর্ব হয়।’‌ 


যুগরাজের জীবন হয়ত এভাবেই চলে যেত। যদি না কোচ নভজিত সিংয়ের নজরে তিনি পড়তেন। তিনিই কোচিং দিতে শুরু করেন যুগরাজকে। কোচের কথায়, ‘‌অন্যদের থেকে যুগরাজ অনেক এগিয়ে ছিল। ওই বয়সেই পরিবারকে সাহায্য করত। সঙ্গে খেলাটাও চালিয়ে যাচ্ছিল।’‌ সকাল–সন্ধে অনুশীলন করত যুগরাজ। মাঝের সময়টা জাতীয় পতাকা ও জলের বোতল বিক্রি করে যেত। কোনওদিন অনুশীলনে আসতে দেরি হলে পরেরদিন সকালে সবার আগে অনুশীলনে আসত যুগরাজ। 


২০০৯ সালে বাবা উত্তম সিং জাতীয় হকি অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন যুগরাজ। আর ২০২১–২২ সালে জাতীয় হকি দলে সুযোগ পান যুগরাজ।