আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বকাপ জয়ের প্রায় এক মাস কেটে গিয়েছে। বিশ্বমঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করার স্বীকৃতি পেয়েছে ভারতের মেয়েরা। এবার আরও একটি পুরস্কার পেলেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের তিন কন্যা। ভারতীয় রেলে চাকরি পেলেন প্রতীকা রাওয়াল, স্নেহ রানা এবং রেণুকা সিং ঠাকুর। তিনজনই বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ওএসডি-স্পোর্টস, অর্থাৎ অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে নিযুক্ত তিন বিশ্বকাপজয়ী। গ্রুপ বি গেজেটেড অফিসারদের সমতুল্য বেতন এবং সুযোগ সুবিধা পাবে প্রতীকা, স্নেহ এবং রেণুকা। রেলওয়ে স্পোর্টস প্রমোশন বোর্ডের উদ্যোগে তাঁদের শুধু আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়া নয়, প্রশাসনিক দায়িত্বও পাবেন বিশ্বকাপজয়ী ত্রয়ী। রেল কর্তৃপক্ষ মনে করে, তাঁদের এই পদক্ষেপ আরও বেশি মেয়েকে ক্রিকেটে আসতে উৎসাহিত করবে।
বিশ্বজয়ীদের নানানভাবে পুরস্কৃত করেছে তাঁদের নিজেদের রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে ডিএসপির পদে নিয়োগ করা হয় রিচা শর্মাকে। বিশ্বকাপ জিতে ফেরার পরপরই সিএবির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের তরফ থেকে দেওয়া হয় সোনার ব্যাট-বল এবং ৩৪ লক্ষ টাকার চেক। মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালে ৩৪ রান করেছিলেন রিচা। সেই কারণেই সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে এই অভিনব উদ্যোগ নেয় সিএবি।
প্রসঙ্গত, এর আগে বড় আর্থিক পুরস্কার পান স্নেহ রানা। বিশ্বজয়ের পর উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির থেকে ফোন পান হরমনপ্রীতের সতীর্থ। বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য স্নেহ রানাকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। একইসঙ্গে বিশ্বকাপে অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য অভিনন্দন জানান। মেয়েদের বিশ্বকাপে রানার সাফল্যের জন্য তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী ধামি বলেন, 'পরিশ্রম, সংকল্প এবং প্রতিভা দিয়ে বিশ্বমঞ্চে উত্তরাখণ্ডকে তুলে ধরেছে স্নেহ রানা। ওর সাফল্য তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা, বিশেষ করে মেয়েদের। উত্তরাখণ্ডের মেয়েরা দেশকে গর্বিত করছে। ক্রীড়াব্যক্তিদের সবরকম সহায়তা করার জন্য তৈরি রাজ্য সরকার।' চতুর্থ দেশ হিসেবে একদিনের বিশ্বকাপ জেতে মেয়েদের ভারতীয় দল। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ভারতের নাম। ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডও ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছিল। আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রথম মহিলা প্লেয়ার হিসেবে ২০০ রানের পাশাপাশি ২০ উইকেট নেওয়ার জন্য বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার হন দীপ্তি শর্মা। সেরাটা ফাইনালের জন্য তুলে রাখেন। অর্ধশতরানের পাশাপাশি পাঁচ উইকেট নেন ভারতীয় অলরাউন্ডার।
