আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেলবোর্ন হোক কিংবা দুবাই, পাকিস্তানকে সামনে পেলে আমূল বদলে যান কিং কোহলি। এদিন তা আরও একবার প্রমাণিত হল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ লিগের ম্যাচে কার্যত একা হাতেই পাকিস্তানকে দুরমুশ করলেন বিরাট। ক্রিকেট বিশ্বকে মনে করিয়ে দিলেন তাঁকে এমনি এমনি ‘চেজ মাস্টার’ বলা হয়না। এদিন বড় ম্যাচে রোহিত শর্মা(২০) বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। তিন নম্বরে নেমে দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন কোহলি। এদিন তাঁর ব্যাট থেকে বেরোল একদিনের ক্রিকেটে ৫১ নম্বর শতরান এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮২ নম্বর শতরান। একটা সময় এমন জায়গায় খেলাটা চলে গিয়েছিল যেখানে ভারতের জয়টা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু প্রশ্ন ছিল কোহলি শতরান করতে পারবেন কিনা। সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন কোহলি নিজেই। খুশদিলকে কভার দিয়ে চার মেরে শতরান করলেন তিনি। সেলিব্রেশনে বুঝিয়ে দিলেন ‘চিন্তা কীসের? আমি তো আছি’।

 

 

ম্যাচের পরে জানিয়ে গেলেন, রোহিতের উইকেটের পর আমাদের পার্টনারশিপের দরকার ছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে খেলতে পেরেছি, পরিকল্পনা করে খেলে গিয়েছি। এরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয় দরকার ছিল যাতে আমাদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা যায়’। এদিন বিরাট কোহলিকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন শ্রেয়স আইয়ার এবং শুভমান গিল। রোহিতের উইকেটের পর যখন কোহলি সেট হচ্ছিলেন সেই সময় গিল(৪৬) সামলে খেলে যান পাক বোলারদের। তারপরেও শ্রেয়সের সঙ্গেও বড় জুটি বাধেন বিরাট। আইয়ার(৫৬) যখন আউট হলেন তখন ম্যাচ বেরিয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের হাত থেকে। হার্দিক চালিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হলেও বাকি কাজটা সারেন বিরাট এবং অক্ষর। এদিনের জয়ের পর সেমিফাইনাল একপ্রকার নিশ্চিত করে ফেললেন রোহিতরা।

 

 

নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের আগে কয়েকদিন বিশ্রামও পাবে ভারতীয় দল। রবিবার সাউদ শাকিল এবং মহম্মদ রিজওয়ানের ১০৪ রানের পার্টনারশিপে পাকিস্তান তোলে ২৪১। ভাল শুরু করেও মিডল ওভারে ভারতীয় স্পিনার এবং হার্দিকের কৃপণ বোলিংয়ে আটকে যান পাক ব্যাটাররা। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রিজওয়ান। বাবর আজম এবং ইমাম উল হক ৪১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। বাবরকে আউট করে পাকিস্তানকে প্রথম ধাক্কা দেন হার্দিক। কিছুক্ষণের মধ্যেই রান আউট হয়ে ফিরে যান ইমামও। তবে রিজওয়ান এবং শাকিল ম্যাচের হাল ধরেন। ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়লেও রান তোলার গতি ছিল অত্যন্ত স্লথ। পরিসংখ্যান বলছে মাঝের ২০ ওভারে ৮০টি ডট বল খেলেছে পাকিস্তান। লাইন লেংথ বজায় রেখে টানা বল করে গিয়েছেন অক্ষর-জাদেজা-কুলদীপরা। এদিনের সবথেকে সফল বোলার কুলদীপ যাদব। ন’ওভারে ৪০ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিলেন তিনি। হার্দিক নিয়েছেন দুটি, সামি বাদে বাকি বোলাররা নেন একটি করে উইকেট।