আজকাল ওয়েবডেস্ক: কে বলে টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছে? অবলুপ্তির পথে হাঁটছে? সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান সকলের ধারণা বদলে দেবে। অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি সমস্ত ডিজিটাল রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। টিভির পাশাপাশি জিও হটস্টারে সম্প্রচার হয় এই সিরিজ। ১৭০ মিলিয়নের বেশি এই পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দেখে। যেকোনও ডিজিটাল প্লাটফর্মে সবচেয়ে বেশি দেখা টেস্ট সিরিজ। ওভাল টেস্টের পঞ্চম দিন ১৩ মিলিয়ন ডিজিটালি টেস্ট ম্যাচ দেখে। গোটা সিরিজ ৬৫ বিলিয়ন মিনিট দেখা হয়েছে। এর আগে কোনও টেস্ট সিরিজ এত লোক দেখেনি। এই সিরিজ দিয়ে ভারতের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাইকেল শুরু হয়েছে। ভারতের লাল বলের ক্রিকেটে এক নতুন যুগের শুরু। 

ডিজিটাল সংস্থার কন্টেন্ট হেড সিদ্ধার্থ শর্মা বলেন, 'ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ টেস্ট ক্রিকেটের জৌলুশ আবার ফেরাবে। প্রচুর লোক ডিজিটালি ম্যাচ দেখেছে। ম্যাচের প্রত্যেক সেশন আকর্ষণীয় ছিল। ১৭০ মিলিয়ন আমাদের প্লাটফর্মে এই সিরিজ দেখেছে। নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে।' পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২ এ শেষ হয়। শেষ দুই টেস্টে অসাধারণ প্রত্যাবর্তন ভারতের। ম্যাঞ্চেস্টারে ড্রয়ের পর ওভালে জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় ভারত। এই আকর্ষণীয় সিরিজের জন্য পিচের বড় অবদান রয়েছে। 

ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের সমস্ত ভাল দিকের মধ্যে অন্যতম পিচ। প্রত্যেক টেস্ট পাঁচদিন পর্যন্ত গড়ায়। ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলারদেরও সাহায্য করে উইকেট। কখনই পিচ একপেশে ছিল না। সাধারণত অ্যাওয়ে সফরের সময় উইকেট হোম টিমের সুবিধা অনুযায়ী করা হয়। তবে এবার তেমন ছিল না। খেলার মানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। যার ফলে প্রত্যেক টেস্ট চিত্তাকর্ষক হয়েছে। ভাল পিচ হলে একটা টেস্ট ম্যাচ কতটা উপভোগ্য হতে পারে তার প্রমাণ অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর সিরিজ। ইংল্যান্ডের পিচের প্রশংসা করেন দিলীপ ভেঙ্গসরকর। জানান, তাঁদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত বাকিদের।

ভেঙ্গসরকর বলেন, 'ইংল্যান্ডের টেস্ট সংস্কৃতির প্রশংসা করতেই হবে। প্রত্যেক ম্যাচেই প্রচুর দর্শক মাঠ ভরায়। স্পোর্টিং উইকেটের জন্য সবকটা টেস্ট পাঁচদিন পর্যন্ত গড়ায়। এই সিরিজ দীর্ঘদিন মানুষের মনে থাকবে। ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে টেস্টের আগ্রহ ফিরিয়ে এনেছে। টেস্ট ক্রিকেটের গুরুত্বও বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা প্রমাণ করছে, ভাল পিচ বানালে, টেস্ট শুধু বেঁচেই থাকবে না, রমরমিয়ে এগোবে।' চলতি বছর দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ আছে। সেখানে স্পোর্টিং পিচ করার দাবি জানান নির্বাচক মণ্ডলীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান।