আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপ জিতে এসে সূর্যকুমার যাদব তাঁর আক্ষেপের কথা জানালেন। সবচেয়ে বড় আক্ষেপ মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে তাঁর খেলা হল না। এক অনুষ্ঠানে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতের অধিনায়ক বলেন, ''ধোনি যখন নেতা ছিল, তখন আমি ওর নেতৃত্বে খেলার সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু সেই সুযোগ কোনওদিন আসেনি। ধোনির বিরুদ্ধে যখন খেলেছি, তখন উইকেটের পিছনে ওর প্রভাব দেখেছি। ওর বিরুদ্ধে খেলতে খেলতে একটা জিনিস শিখেছি। তা হল প্রবল চাপের মুখেও শান্ত থাকতে হবে। ধোনি সব দিকে নজর রাখত, ম্যাচটাকে পর্যালোচনা করত, তার পরে সিদ্ধান্ত নিত।''
এদিকে এশিয়া কাপে নাটকের পর নাটক হয়েছে। এশিয়া কাপ জুড়ে বিতর্ক আর বিতর্ক। খেলাতে বিতর্ক। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও তাই। ভারত চ্যাম্পিয়নের ট্রফি নিতে অস্বীকার করে। পাকিস্তান অধিনায়ক সলমন আলি আঘা আরও ন্যক্করজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন। সর্বসমক্ষে তিনি রানার্স আপের চেক ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। ৭৫ হাজার মার্কিন ডলারের চেক সলমন আলি আঘার হাতে তুলে দেন মহসিন নকভি। মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার সময়ে সলমন আলি আঘা সেই চেক ছুড়ে ফেলে দেন। তাঁর কাণ্ড দেখে মঞ্চে উপস্থিত সবাই হতবাক।
আরও পড়ুন: 'আমরা এক বছরও দিতে পারলাম না ওকে', নেতৃত্ব থেকে রোহিতকে সরানোয় নির্বাচকদের কটাক্ষ কাইফের
টানটান উত্তেজনার ফাইনালের শেষেও রইল টানটান নাটক। পাকিস্তানকে চরম শিক্ষা দিল ভারতীয় ক্রিকেটাররা। দুবাইয়ের রাতে সূর্যোদয়ের এক ঘণ্টা পরে শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। মঞ্চে তখন ছিলেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নকভি। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটারদের ধর্নুভাঙা পণ। কিছুতেই নকভির হাত থেকে তাঁরা ট্রফি নেবেন না। শেষমেশ চূড়ান্ত অসম্মানিত-অপমানিত নকভি ট্রফি নিয়েই চলে গেলেন। ভারতীয় ক্রিকেটাররা ট্রফি ছাড়াই উদযাপন করেন।
সূর্যকুমার যাদব সেই ট্রফি বিতর্ক প্রসঙ্গে বলেন, ''আমরা মোটেও দরজা বন্ধ করে দিইনি। ড্রেসিংরুমের ভিতরেও বসে থাকিনি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কাউকে অপেক্ষাতেও রাখিনি। ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল ওরা। এটাই আমি দেখেছি। কিছু লোক আমাদের ভিডিও করেছে। তবে আমরা ড্রেসিং রুমের ভিতরে যাইনি।''
ভারত অধিনায়ক পরিষ্কার করে দেন, তাঁদের উপরে ভারত সরকার বা বোর্ডের তরফ থেকে কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। এটা সম্পূর্ণ ভাবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সিদ্ধান্ত। সূর্য বলেছেন, ''প্রথমত, পরিষ্কার করে দিই, সরকার বা বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে টুর্নামেন্ট চলাকালীন আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এও বলা হয়নি যে এর হাত থেকে ট্রফি নেবে না। আমরা মাঠেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসিসি আধিকারিকরা মঞ্চে ছিল আর আমরা নীচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমি দেখেছি মঞ্চে ওরা কীসব যেন বলছে। কী বলছিল, সেটাও আমার জানা নেই। দর্শকদের মধ্যে অনেকেই গালমন্দ করছিলেন। তার পর আমাদের চোখে পড়ে ওদের কোনও প্রতিনিধি ট্রফি নিয়ে পালিয়ে গেল।''
আরও পড়ুন: 'পাকিস্তান ক্রিকেট ধ্বংস করছে নকভি', স্বর্ণপদক পেতে চলা পিসিবি প্রধানকে বেনজির আক্রমণ ইমরানের ...
