আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ফাইনালের পর ফের বিতর্কের কেন্দ্রে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি।
দুবাইয়ে ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের পর পাকিস্তানের হাতে ট্রফি তুলে দিলেও, পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে নকভিকে কার্যত ‘এড়িয়ে’ গেল ভারতীয় দল।
ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে দাপটের সঙ্গে খেলেছে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে সমীর মিনহাসের দুরন্ত ১৭২ রানের সুবাদে পাকিস্তান তোলে ৩৪৭ রান।
জবাবে বৈভব সূর্যবংশীর ঝোড়ো সূচনার পরও চাপের মুখে ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ পর্যন্ত ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। ১৯১ রানে জিতে শিরোপা নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
ম্যাচ চলাকালীনই দুবাইয়ে আইসিসি অ্যাকাডেমির মাঠে পৌঁছে গিয়েছিলেন মহসিন নকভি। পুরস্কার বিতরণীর সময়ও অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
তবে ভারতীয় খেলোয়াড়রা নকভির সঙ্গে একই মঞ্চে ওঠেননি। তারা মূল ডায়াস থেকে দূরে অন্য এক অতিথির কাছ থেকে নিজেদের পদক গ্রহণ করেন, যেখানে নকভি দাঁড়িয়ে ছিলেন।
নকভি পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দের হাতে বিজয়ী পদক তুলে দেন এবং অধিনায়ক ফারহান ইউসুফের হাতে ট্রফি তুলে দেন।
এরপর পাকিস্তান দলের খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে তিনি উদযাপনের ছবি তোলেন। মাঠে পাকিস্তান দলের ভিকট্রি ল্যাপের সময়ও তাঁকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে সিনিয়র দলের এশিয়া কাপ ফাইনাল ঘিরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর থেকে মহসিন নকভিকে কেন্দ্র করে এশিয়া স্তরের টুর্নামেন্টগুলিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
সেই সময় ভারতীয় দল এসিসি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকার করেছিল। সেই ঘটনার পর বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলেই দেওয়া হয়নি।
সেটি নকভি সঙ্গে করে নিয়ে চলে যান। সেই ঘটনার পর বিতর্ক আরও বেড়ে যায়। এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে সেই টানাপোড়েন এখনও চলছেই।
এর মধ্যেই রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ ও অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ট্রফি পাকিস্তান দলের হাতে তুলে দিয়েছেন মহসিন নকভি। যা বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ৩৪৭ রানের জবাবে ভারত শুরুটা ঝড়ের গতিতে করেছিল। বৈভব সূর্যবংশী প্রথম ওভারেই পাকিস্তানের প্রধান পেসার আলি রাজাকে ২১ রান মারেন।
পরে মহম্মদ সাইয়ামের বলে ক্যাচ পড়ে গেলেও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ১০ বলে ২৬ রান করে রাজাকেই উইকেট দিয়ে ফেরেন সূর্যবংশী।
অধিনায়ক আয়ুষ মাত্রে এদিনও রান পাননি। দু’ওভারে বিনা উইকেটে ৩২ রান তুললেও এরপরই ধস নামে ভারতের ইনিংসে। উইকেট পড়তে পড়তে এক সময় স্কোর দাঁড়ায় ৯৪ রানে ৭ উইকেট।
অ্যারন জর্জ ৯ বলে ১৪ রানের ছোট্ট লড়াই দেখালেও তা যথেষ্ট ছিল না। খিলান প্যাটেলের ১৯ রানও শুধুমাত্র ভারতের হারকে কিছুটা আটকেই রেখেছিল।
আলি রাজা ৪২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। মহম্মদ সাইয়াম, আব্দুল সুভান ও হুজাইফা আহসান প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের বড় জয় নিশ্চিত করেন।
শেষ দিকে দেবেন্দ্রন ১৬ বলে ৩৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ভারতীয় সমর্থকদের সামান্য আনন্দ দিলেও শেষ পর্যন্ত রাজাই তাঁর উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন।
