আজকাল ওয়েবডেস্ক: দফায় দফায় বৃষ্টি। বিঘ্নিত ম্যাচ। কমিয়ে আনা হল ওভার সংখ্যা। ৫০ ওভারের ম্যাচ হয়ে গেল ২৬ ওভারের। সেই ২৬ ওভারে ভারত করল ৯ উইকেটে ১৩৬ রান। কিন্তু অজিদের জন্য সেই টার্গেট দাঁড়ায় ১৩১। ভারতীয় ব্যাটারদের অয়ারাম-গয়ারাম ব্যাটিং দেখলে মাইকেল হোল্ডিং নির্ঘাৎ বলতেন, ওরা হারাকিরি করছে। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্য উল্লেখযোগ্য রান অক্ষর প্যাটেল (৩১) ও লোকেশ রাহুলের (৩৮)। বাকিরা কেউ দাঁড়াতেই পারলেন না।

টস জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল। সেই যে শুরু থেকে উইকট পড়তে থাকে, ম্যাচ যত গড়ায় ততই তা বাড়তে থাকে। পারথে দেখা গেল না রোহিত রোশনাই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা হিটম্যানের। বুকের উপরে বসে থাকা জগদ্দল পাথরটাকে সরাতে হলে পারথে দরকার ছিল ধুন্ধুমার এক ইনিংস। তাঁকে নিয়ে তৈরি হওয়া প্রশ্ন, অচলায়তন সব ভেঙে দিতেন মুম্বইকর।

আরও পড়ুন:'এই বেদনা-কষ্ট নিয়েই এগিয়ে যাব...', 'আমাগো ফ্যান্স'দের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যথিত অস্কারের ...

নির্বাচকদের দিকে আঙুল তুলে বলতে পারতেন, ''কোথায় আমার ফর্ম খারাপ? আমার ব্যাটে তো এখনও রান আছে। তোমরা আমাকে খেলতে দেবে না।'' কলার তুলে চোখে চোখ রেখে বলার মতো সুযোগ প্রথম ওয়ানডে দিল না রোহিতকে। ১৪ বল টিকলেন। মাত্র ৮ রানে ফিরতে হল তাঁকে। মেরেছেন একটি বাউন্ডারি। হ্যাজলউডের বলটা রোহিতের ব্যাটে চুম্বন করে চলে গেল দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো রেনশ-র কাছে। ১৩ রানে ভারত হারাল তার তারকা ব্যাটারকে। অধীর আগ্রহে ভারতীয় সমর্থকরা অপেক্ষা করেছিলেন কোহলির জন্য। বিরাট নামলেন। কিন্তু রোহিতকে ঠেলে দিলেন আরও অন্ধকারে। 

বিরাট কোহলি খাতাই খুললেন না। স্টার্কের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা মারতে গেলেন। ধরা পড়ে গেলেন বিরাট। সেই সঙ্গে বিরাট স্বপ্নও শেষ হয়ে গেল। সেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ফের টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে দেখা গিয়েছিল রোকো জুটিকে। দুজনের কেউই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন না। এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এটাই বিরাটের প্রথম ডাক। ৩০-তম ওয়ানডে ইনিংস স্যর ডনের দেশে। আট বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন কোহলি। স্টার্কের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা মারতে গেলেন। ধরা পড়ে গেলেন বিরাট। ওয়ানডে ফরম্যাটে এটি কোহলির ১৭-তম ‘ডাক’। তিনি পিছনে ফেলে দিলেন রোহিত শর্মাকে। হিটম্যান এর আগে ১৬ বার শূন্য রানে আউট হন। 

 বিরাট কোহলি এখন পড়ন্ত সূর্য। কতদিন তিনি বহতা নদীর মতো বইবেন কেউ জানেন না। অবশ্য অনেকেই বলতে পারেন, একটা ম্যাচের পরেই 'গেল গেল' রব তোলার কী আছে! এখনও তো রয়েছে দুটো ম্যাচ। ওই দুটো ম্যাচে রান করতেই পারেন রান-মেশিন। কিন্তু মনের ভিতরে যে রয়েছে আশঙ্কা। পারবেন তো বিরাট রান করে নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করতে? স্যর ডনের দেশই মহাতারকা বিরাটের ভবিষ্যতের দিক নির্দেশ করে যাবে। 

বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে অক্ষর প্যাটেল ও লোকেশ রাহুল পার্টনারশিপ না গড়লে ভারত আরও অনেক কম রানে ভেঙে পড়তে পারত।

আরও পড়ুন: ইন্টার মায়ামির পাঁচে মেসির তিন, জিতে নিলেন সোনার বুট