আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত অধিনায়ক শুভমান গিলকে আইসিইউ-তে রাখা হল। তিনি আইসিইউ-তে থাকা মানে ভারতের সাজঘরে চিন্তা বাড়ল। পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিয়েছে, তাতে রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করতে বেশি সময় লাগবে না ভারতীয় বোলারদের। তার পরে রান তাড়া করতে নামতে হবে ভারতকে। পিচের চরিত্র যা তাতে কিন্তু ভারতীয় ব্যাটাররাও সমস্যায় পড়বেন।
গিলের যা পরিস্থিতি তাতে হয়তো তিনি ব্যাট করতে পারবেন না। আর গিল ব্যাট করতে না পারলে ভারতের চিন্তা বাড়তেই পারে। কারণ ইডেনের পিচ কিন্তু স্বাভাবিক ব্যবহার করছে না। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে গিলকে মাঠ থেকেই অ্যাম্বুল্যান্স করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসুর অধীনে। রাতের খবর তাঁকে রাখা হয়েছে আইসিইউ-তে।
গিলের চোট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয় দলের ড্রেসিং রুমে চাপা অসন্তোষও রয়েছে বলেই সূত্রের খবর। দ্বিতীয় দিনের সকালে ওয়ার্ম আপের সময়ই ভারত অধিনায়ক ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে চেয়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ম্যাচের আয়োজক সিএবি-কে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনার কথা জানানো হয় ভারতীয় দলের তরফ থেকে। সূত্রের খবর, সেই সময়ে বিশেষজ্ঞ কোনও চিকিৎসক মাঠে ছিলেন না। ছিলেন একজন আরএমও। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যখন আসেন, ততক্ষণে খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে গিলের পক্ষে আর চোট দেখানো সম্ভব হয়নি। ব্যথা নিয়েই তিনি নেমে পড়েন।
শনিবার সকালে ব্যাট করতে নেমে কিছুক্ষণ পরই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন অধিনায়ক শুভমন গিল।
ওয়াশিংটন সুন্দর আউট হওয়ার পর ৩৫তম ওভারে নেমে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ইনিংসের সূচনা করেছিলেন তিনি। সাইমন হার্মারের বলে দারুণ এক বাউন্ডারিতে ইনিংস শুরু করেন, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই চোটের কারণে তাকে মাঠ ত্যাগ করতে হয়।
গিলের চোটের প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল বুলেটিন জারি করেছে বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আপডেট অনুযায়ী, গিলের ঘাড়ে ‘নেক স্পাজম’ ধরা পড়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁর ঘাড়ের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য।
বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শুভমন গিলের নেক স্পাজম হয়েছে এবং তাকে বিসিসিআই মেডিক্যাল টিম পর্যবেক্ষণে রাখছে। আজকে তিনি খেলতে পারবেন কি না, তা তার চিকিৎসার অগ্রগতির ওপর নির্ভর করবে।’
হার্মারের প্রথম দুটি বল সহজেই খেলে নেওয়ার পর স্কোয়ার লেগের ওপর দিয়ে সুইপ করে আত্মবিশ্বাসের পরিচয় দেন গিল। ঠিক সেই শটের পর ফলো-থ্রুতে ঘাড়ে অস্বস্তি অনুভব করতে দেখা যায় তাঁকে।
সঙ্গে সঙ্গে হেলমেট খুলে তিনি ঘাড় চেপে ধরেন। দ্রুতই ফিজিও মাঠে ছুটে আসেন। কিছুক্ষণ পরীক্ষার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গিল যখন অবসৃত হন, তখন তাঁর রান ছিল ৪। গিলকে ঝকঝকে দেখাচ্ছিল। ৩ বলের মধ্যে একটি ভাল বাউন্ডারিও মারেন। কিন্তু তারপরই ঘাড়ের কাছে ব্যথা অনুভব করেন ভারত অধিনায়ক। শেষমেশ ওই ব্যথা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। দিনের শেষে চোটের পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য যেতে হয় হাসপাতালে। কিন্তু তাঁকে পর্যবেক্ষণ এবং সতর্কতার জন্য আইসিইউ-তে রাখা হল। পরিস্থিতি যা তাতে ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সম্ভাবনা নেই গিলের। দ্বিতীয় টেস্টেও তিনি কিন্তু অনিশ্চিত, এ কথা বলে দেওয়াই যায়।
