আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছয় গোল সত্ত্বেও ভাঙল হৃদয়। এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার থেকে ছিটকে গেল ভারত। ব্রুনে দারুসালামকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া সত্ত্বেও অভিযান শেষ হয়ে গেল ভারতের জুনিয়রদের। মঙ্গলবার দোহার সুহেম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে দুরন্ত পারফরম্যান্স মেন ইন ব্লুদের। তিন ম্যাচে ছয় পয়েন্টে শেষ করল ভারত। গ্রুপ এইচ এ কাতার এবং বাহরিন ম্যাচের ওপর নির্ভর করছিল ভাগ্য। আয়োজক দেশ সেই ম্যাচ ২-১ গোলে জিতে যাওয়ায়, ছিটকে যায় ভারত। তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে শেষ করে কাতার। ছয় পয়েন্ট ভারতের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেরা চারটে দল পরের রাউন্ডে খেলার যোগ্যতাঅর্জন করে। গ্রুপ রানার্স আপদের মধ্যে পঞ্চম স্থানে শেষ করে ভারত।
ছয় গোলে জেতা সত্ত্বেও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হল ভারতকে। হ্যাটট্রিক করেন ভিবিন মোহানন। ম্যাচের ৫, ৭ এবং ৬২ মিনিটে তিনটে গোল করেন। জোড়া গোল মহম্মদ আইমেনের। একেবারে শেষলগ্নে ম্যাচের ৮৭ এবং ৯০+৭ মিনিটে গোল করেন। এক গোল আয়ুষ ছেত্রী। শুরুটা দারুণ করে ভারত। ম্যাচের ৫ মিনিটে মহম্মদ সুহেলের পাস থেকে গোলের খাতা খোলেন ভিবিন। তার মিনিট দুয়েক পর তিনিই ব্যবধান বাড়ান। এরপরও একাধিক গোলের সুযোগ এসেছিল। কিন্তু একাধিক মিস। বিরতির আগেই আয়ুষের গোলে ৩-০ করে ভারত।
বিরতির পরও প্রেসিং ফুটবল অব্যাহত থাকে। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের খাতা খুলতে ১৫ মিনিট লাগে। ৬২ মিনিটে হ্যাটট্রিক সর্ম্পূণ করেন ভিবিন। আরও অনেক বেশি ব্যবধানে জিততে পারত ভারতের জুনিয়ররা। কিন্তু ফিনিশিং টাচের অভাব ছিল। সহজ সুযোগ মিস করেন হরিজন। সামনে একা বিপক্ষের গোলকিপারকে পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। ব্রুনের গোলমুখে ঘোরাফেরা করছিলেন আইমেন। ৮৭ মিনিটে নিজের প্রথম এবং দলের চতুর্থ গোল তুলে নেন। তার কয়েক মিনিট আগেই বল জালে রাখেন হরিজন। কিন্তু অফসাইডের জন্য গোল বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচের শেষদিকে ৬-০ করেন আইমেন। পরের রাউন্ডে না যেতে পারলেও আশা জায়গায় ভারতের জুনিয়ররা। সম্প্রতি খালিদ জামিলের তত্ত্বাবধানে দুরন্ত শুরু করেছে ভারতের সিনিয়র দল। টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেও জুনিয়রদের এই লড়াইকে কুর্নিশ করতেই হবে।
