আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই তারকা ক্রিকেটারের ব্যর্থতা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ থেকে ফ্যানদের। তারকাখচিত ব্যাটিং লাইন আপের বিপর্যয়ে দুটো টেস্ট হারতে হয়েছে। এক টেস্ট বাকি থাকতেই ২-০ তে সিরিজ পকেটে পুরে নেয় কিউয়িরা। গত ২-৩ বছর ধরে লাল বলের ক্রিকেটে রানের খড়া চলছে বিরাট কোহলির। চার ইনিংসে মাত্র ৮৮ রান করেন। তারমধ্যে এক ইনিংসে রয়েছে ৭০ রান। চার ইনিংসে রোহিতের রান ৬২। তারমধ্যে এক ইনিংসে ৫২ করেন ভারত অধিনায়ক। লম্বা টেস্ট মরশুম শুরু হওয়ার আগে ভারতের অন্যান্য ক্রিকেটাররা দলীপ ট্রফিতে অংশ নিলেও, খেলেননি রোহিত এবং বিরাট। অনেকেই মনে করেন, হারিয়ে যাওয়া ছন্দ ফিরে পেতে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে উচিত ছিল ভারতীয় ক্রিকেটের দুই মহাতারকার। সঞ্জয় মঞ্জরেকর সহ অনেকেই এই প্রসঙ্গ তোলেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন সুনীল যোশী। 

ঘরের মাঠে স্পিনের সামনে ধরাশায়ী হয় ভারতীয় দল। প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার এবং নির্বাচক ঘরোয়া ক্রিকেটের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। যোশী বলেন, 'আমরা স্পিন খেলতে ভুলে গিয়েছে। স্পিনাররা ঘরের মাঠে ইতিহাস রচনা করতে পারলে, আমাদের ব্যাটারদেরও স্পিনের বিরুদ্ধে খেলা শিখতে হবে। আর কবে আমরা আমাদের সেরা ব্যাটারদের ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে দেখব? ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেললে, স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলা যাবে না। একটা সময় প্রত্যেক বড় প্লেয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে কয়েকটা ম্যাচ খেলে টেস্ট খেলতে যেত। আমাদের টপ অর্ডারের প্লেয়াররা সেটা করতে পারে না কেন? ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা সহজ নয়। যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং।' ইতিমধ্যেই শচীন তেন্ডুলকর এবং বিরাট কোহলির রঞ্জি ট্রফির একটি পরিসংখ্যান সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। ২০১৩ সালে শেষবার রঞ্জি খেলেন মাস্টার ব্লাস্টার। একই বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান শচীন। এদিকে কোহলি ২০১২ সালে শেষবার রঞ্জি খেলেছে। রোহিত ২০১৫-১৬ মরশুমে শেষবার খেলে। তারপর আর লাল বলের এলিট টুর্নামেন্টে খেলেননি তাঁরা। এতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যানদের প্রশ্ন, 'শচীন ৪০ বছরে রঞ্জি খেলতে পারলে, কোহলি-রোহিত কেন নয়?'