আজকাল ওয়েবডেস্ক: বরুণ-কুলদীপ জুটিতে ম্যাচে ফিরল ভারত। জোড়া উইকেট চায়নাম্যানের। ফিরে গিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের দুই সেরা ব্যাটার রচিন রবীন্দ্র এবং কেন উইলিয়ামসন। ১৩ ওভারের শেষে ৭৭ রানে ৩ উইকেট কিউয়িদের। গোটা টুর্নামেন্টে সেইভাবে নজর কাড়তে না পারলেও ফাইনালে বাজিমাত। নিজের প্রথম দুই ওভারে ফিরিয়ে দেন বিপক্ষের দুই তারকাকে। প্রথম বলে রচিন রবীন্দ্রকে বোল্ড করার পর উইলিয়ামসনকে কট অ্যান্ড বোল্ড। ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে কিউয়িরা। তার আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নক আউট পর্বে মহম্মদ সামির ক্যাচ মিসের হ্যাটট্রিক। সেমিফাইনালের পর ফাইনালেও। দু'হাতেও ধরতে পারেননি রচিন রবীন্দ্রর ক্যাচ। যার ফলে শুরুটা ভাল করে নিউজিল্যান্ড।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মিচেল স্যান্টনার। শুরুতে অধিনায়কের মান রাখে কিউয়ি ব্যাটারররা। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে শুরু করে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। হার্দিক পাণ্ডিয়ার ওভারে ১৬ রান নেয়। তাতে ছিল একটি ছয় এবং দুটি চার। পরের ওভারে মহম্মদ সামিকে জোড়া বাউন্ডারি মারেন রাচিন। রোহিত শর্মা কোনও স্লিপ রাখেননি। যার ফলে পাওয়ার প্লে তে বাঁ হাতি ওপেনারের রান তুলতে সুবিধা হয়। তবে রোহিতের চালেই ম্যাচে ফেরে ভারত।
পাওয়ার প্লের মধ্যেই বরুণ চক্রবর্তীকে আনেন। শুরুতেই উইকেট পেতে পারতেন রহস্য স্পিনার। কিন্তু রাচিন ব্যক্তিগত ৩১ রানে থাকার মাথায় বরুণের বলে তাঁর ক্যাচ ফেলেন শ্রেয়স। তবে প্রথম উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৫৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। বরুণের বলে এলবিডব্লু হন উইল ইয়ং। অন্যদিকে ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল রাচিনকে। পেসারদের হাত খুলে মারছিলেন। রোহিত স্পিনারদের আনা মাত্র ভুলভ্রান্তির সূতপাত। পাওয়ার প্লে তে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান ছিল কিউয়িদের। পাওয়ার প্লের শেষে কুলদীপ যাদবকে আনেন রোহিত। প্রথম বলেই বিপক্ষের সবচেয়ে ফর্মে থাকা ব্যাটারকে বোল্ড করেন চায়নাম্যান। ফেরান উইলিয়ামসনকেও।
