আজকাল ওয়েবডেস্ক: এশিয়া কাপে ম্যাচের সেরা হন অভিষেক শর্মা। কয়েকদিন আগেই আইপিএলের পারফরম্যান্সের বিচারে ভারতের টি-২০ দলে সুযোগ পান। অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের জায়গা পাকা করেন। এবার টুর্নামেন্টের সেরা। দ্রুত সাফল্যের রহস্য কী? তাতে সূর্যকুমার যাদবের অবদান অনস্বীকার্য। টিম ইন্ডিয়ার টি-২০ অধিনায়কের ভরসাই তাঁকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন্সে এমন জানান অভিষেক শর্মা। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শুরুতে বেশ কয়েকবার ফ্লপ হন। কিন্তু সূর্যের আত্মবিশ্বাস তাঁকে ছন্দে ফিরতে সাহায্য করে। অভিষেক বলেন, 'ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজে তিন-চার ইনিংসে আমি দ্রুত আউট হয়ে যাই। তারপর সূর্যকুমার আমাকে বলে, তুমি আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার। যদি তুমি টানা ১৫ বার শূন্যতে আউট হয়েও যাও, পরের ম্যাচে খেলবে। আমি সেটা তোমাকে লিখে দিতে পারি। অধিনায়কের থেকে এটা শোনা বড় বিষয়। একটা জিনিস আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। আমি যদি ভাল কিছু করতে চাই, নাম করতে চাই, তাহলে আমাকে আলাদা কিছু করতে হবে।'
বাঁ হাতি তরুণ ওপেনার জানান, এই বার্তাই তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে। তিনি বুঝে যান, তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা হতে হবে। তবেই সবার নজরে পড়বেন। তারপর থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন। অভিষেক বলেন, 'আমি নিজের সহজাত প্রবৃত্তি চেপে রেখেছিলাম। আমি বরাবরই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে ভালবাসি। আমার মনে হল, লম্বা ইনিংস খেলতে গিয়ে নিজের স্বাভাবিক খেলা চেপে রাখছি। আমি মাথা থেকে সেটা বের করে দিই।' এশিয়া কাপে দাপুটে পারফরম্যান্স তাঁকে ৯৩১ রেটিং পয়েন্টে পৌঁছে দেয়। যা আইসিসি ব়্যাঙ্কিংয়ে টি-২০ ব্যাটার হিসেবে রেকর্ড। ২০২০ সালে করা ডেভিড মালানের ৯১৯ রানের রেকর্ড ভেঙে দেয়। ছোটবেলার বন্ধু শুভমন গিলের কথা তুলে ধরেন। অনূর্ধ্ব-১৬ থেকে একসঙ্গে খেলেন দু'জন। অভিষেক দাবি করেন, শুভমন দুষ্টুমি করেও ধরা পড়ে না। নির্দোষ মুখ করে রাখে। দু'জনের ছোটবেলার কোচ পাঞ্জাবের ক্রিকেটার অরুণ বেদি একজনকে 'শান্ত' এবং অন্যজনকে 'শয়তান' উপাধি দেয়।
