আজকাল ওয়েবডেস্ক: হার্দিক পাণ্ডিয়ার হাত ধরে ম্যাচে ফিরল ভারত। কটকের বারাবাটি স্টেডিয়ামে ঝড় তোলেন। মাত্র ২৫ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে যান। শেষমেষ ২৮ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত জুনিয়র পাণ্ডিয়া। একার হাতেই দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে যান। ২০ ওভারের শেষে ৬ উইকেটে ১৭৫ রান টিম ইন্ডিয়ার। এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজও মিস করেন। কিন্তু প্রত্যাবর্তন রান পেলেন হার্দিক। বিধ্বংসী মেজাজে পাওয়া যায় ভারতীয় অলরাউন্ডারকে। তাঁর ব্যাটে ভর করে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছয় ভারত। পাওয়ার প্লের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ভারতের রান ছিল ৪০। সেখান থেকে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৫। তবে নৈশালোকের আলোয় রান ডিফেন্ড করা খুব সহজ হবে না। বিশেষ করে শিশির ফ্যাক্টরের জন্য। সমস্যায় পড়তে পারে ভারতীয় বোলাররা।
ভারতের বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিন জ্বলে ওঠেন হার্দিক। তিনি ক্রিজে আসার আগে মনে হচ্ছিল এই পিচে ব্যাট করা তেমন সহজ নয়। শুরুতে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি অভিষেক শর্মাকে। সাধারণত শুরুতেই ঝড় তোলেন বাঁ হাতি ওপেনার। কিন্তু এদিন ছন্দে ছিলেন না। ১২ বলে ১৭ রানে আউট হন। তার আগেই ফিরে যান শুভমন গিল। প্রত্যাবর্তনে ব্যর্থ। মাত্র ৪ রান করেন। রান পাননি সূর্যকুমার যাদবও। ১২ রানে ফেরেন। কিছুটা চেষ্টা করেন তিলক বর্মা (২৬) এবং অক্ষর প্যাটেল (২৩)। কিন্তু দিনটি হার্দিকের। দাপুটে ইনিংস। মারকুটে ইনিংসে ছিল ৪টি ছয় এবং ৬টি চার। তিনি নামার আগে খোলসের মধ্যে ঢুকে ছিল ভারত। নেমেই জোড়া ছক্কা মেরে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। টি-২০ ক্রিকেটে যুগ্ম অর্ধশতরানের রেকর্ড করলেন। মিডল অর্ডারে টিম ইন্ডিয়া কি মিস করছিল সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখান হার্দিক। তিন উইকেট নেন নুঙ্গি এনগিডি। জোড়া উইকেট লুথো সিপামলার।
