আজকাল ওয়েবডেস্ক: আরও একটি মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেললেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। ঢুকে পড়লেন রেকর্ডবুকে। ধর্মশালায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে গড়লেন নতুন ইতিহাস। প্রথম পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে ২০০০ রান এবং ১০০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের সপ্তম ওভারে ট্রিস্টান স্টাবসকে আউট করা মাত্র এই রেকর্ড গড়েন। তৃতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে টি-২০ তে ১০০ উইকেট তুলে নিলেন হার্দিক। এই তালিকায় ছিলেন অর্শদীপ সিং এবং যশপ্রীত বুমরা। 

৭০ টি-২০ ম্যাচে ১০৭ উইকেট নেন অর্শদীপ। ইকোনমি রেট ৮.৩৫। সেরা বোলিং ৯ রানে ৪ উইকেট। ৮২ ম্যাচে ১০১ উইকেট বুমরার।‌ ইকোনমি রেট ৬.৩৫। সেরা ৭ রানে ৩ উইকেট। হার্দিকের আগে মোট চার ক্রিকেটারের এই নজির রয়েছে। তাঁদের মধ্যে সকলেই স্পিনার। তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, আফগানিস্তানের মহম্মদ নবি, জিম্বাবোয়ের সিকান্দর রাজা এবং মালয়েশিয়ার বিরনদীপ সিং। চোটের জন্য দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার পর কটকে প্রথম টি-২০ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন হার্দিক। প্রথম ম্যাচেই ঝড় তোলেন। ২৮ বলে অপরাজিত ৫৯ রান করেন। তাতে ছিল চারটি ছয় এবং ছটি চার। বল হাতেও উইকেট পান। তাঁর দাপুটে ব্যাটিংয়ে ১০১ রানে প্রথম টি-২০ জেতে ভারত। 

গত দু'মাস ক্রিকেটের থেকে, দৈনন্দিন জীবনযাত্রা থেকে বহু দূরে ছিলেন। ফিটনেস ফিরে পেতে দু'মাস জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে কালঘাম ছোটান। তারই ফল পেয়েছেন। প্রথম ম্যাচ জেতার পর হার্দিক বলেছিলেন, '৫০ দিন আমি পরিবারের থেকে, কাছের মানুষদের থেকে দূরে থেকে এনসিএতে কাটিয়েছি। ফিট হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এবার এখানে এসে তার রেজাল্ট পেয়ে ভাল লাগছে।' দলকে জেতানোর পর জানিয়েছিলেন, হার্দিক কী চায় সেটা বড় নয়, আসল দলের জয়। প্রত্যেক ম্যাচেই নিজেকে মেলে ধরেছেন তারকা অলরাউন্ডার। 

প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপের মাঝপথ থেকে ছিটকে যান হার্দিক। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চোট পান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজেও খেলতে পারেননি।দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরেই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দারুণ খেলেন। তাঁর ৪২ বলে ৭৭ রান পাঞ্জাবকে হারাতে সাহায্য করে। ফেব্রুয়ারিতে ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় টি-২০ বিশ্বকাপ। তার আগে হার্দিকের ছন্দে ফেরা ইতিবাচক দিক।