আজকাল ওয়েবডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রিকি পন্টিংয়ের মধ্যে মতের অমিল ছিল। রিকি পন্টিং তাঁর দেশের খেলোয়াড়দের দ্বারা প্রভাবিত হতেন। সেই মতো দল গড়তে চাইতেন। কিন্তু সৌরভ তা মানতেন না। দিল্লি ক্যাপিটালসের অন্দরমহলের কথা প্রকাশ করলেন মহম্মদ কাইফ। যিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচিং স্টাফ ছিলেন একসময়ে।
দিল্লি ক্যাপিটালস এবার অবশ্য নতুন কোচিং স্টাফ নিয়োগ করেছে। রিকি পন্টিং ফ্র্যাঞ্চাইজি বদলেছেন। দিল্লি ক্যাপিটালসে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দায়িত্ব বদলেছে।
মহম্মদ কাইফ সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরনো প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করে বলছেন, ''আমার মনে হয় সামি নিজেও স্বীকার করবে ও আরও ভাল করতেই পারত। দলটাকে আমরাই তৈরি করেছিলাম। পন্টিং, সৌরভ আর আমি মিলে তৈরি করেছিলাম। একটা সময় এরকম মনে হত, কাকে আমরা বসাব। অজিঙ্ক রাহানে, অশ্বিন, ইশান্ত শর্মা, এমনকী হেটমায়ারেরও জায়গা হত না।''
শিখর ধাওয়ানকে দলে নেওয়া নিয়ে পন্টিং ও সৌরভ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করেছিলেন। সৌরভ তখন দিল্লির ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট ছিলেন। হায়দরাবাদ থেকে শিখর ধাওয়ানকে দিল্লিতে আনতে চেয়েছিলেন সৌরভ। তিনি বলেছিলেন, ''এবার আমাদের দেশীয় প্লেয়ারদের উপরে জোর দিতে হবে।'' কিন্তু রিকি পন্টিং তা মনে করতেন না। পন্টিংকে অন্যরকম বুঝিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। পন্টিংও তা মেনে নিয়ে ধাওয়ানকে দলে নিতে চাননি। কাইফ বলছেন, ''শিখর ধাওয়ানকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে গাঙ্গুলি একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। পন্টিং মেনে নেয়নি। পন্টিং মনে করত, ওর কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে। পন্টিং একদিক দিয়ে ঠিক ছিল, কারণ টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিল ধাওয়ান। কিন্তু আমরা বুঝিয়েছিলাম, ধাওয়ান বিশ্বস্ত প্লেয়ার। এক মরশুমে ৫০০ রান করতে পারে ধাওয়ান।''
কাইফ জানান ডেভিড ওয়ার্নার হয়তো পন্টিংকে প্রভাবিত করেছিল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদে ওয়ার্নারের ব্যাটিং পার্টনার ছিলেন ধাওয়ান। কাইফ বলছেন, ''ডেভিড ওয়ার্নার হায়দরাবাদে ছিল। আমার মনে হয়, ধাওয়ানকে দলে নেওয়া নিয়ে ওয়ার্নার হয়তো পন্টিংকে প্রভাবিত করতে পারে। পন্টিংকে ওয়ার্নার হয়তো বলেছিল, ধাওয়ান এখন আর সেরা প্লেয়ার নয়। কিন্তু সৌরভ ও পার্থ জিন্দাল ধাওয়ানের পাশে দাঁড়ান। তার পরে দিল্লিতে আনা হয় ধাওয়ানকে। ভারতীয় তারকা প্রমাণ করেছিল সৌরভের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।'' ধাওয়ান তিন মরশুমে দিল্লির হয়ে পাঁচশোর বেশি রান করেন।
২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১ সালে ধাওয়ানের রান ছিল যথাক্রমে ৫২১, ৬১৮ এবং ৫৮৭। সৌরভ-পন্টিংরাও দিল্লিতে আলোর সন্ধান দিতে পারেননি। আসন্ন আইপিএলে কী হয়, সেটাই দেখার।
