আজকাল ওয়েবডেস্ক: গৌতম গম্ভীর ভারতের হেড কোচ হওয়ার পরে দেশের মাটিতে ৬টি টেস্টের মধ্যে ভারত হার মেনেছে ৪টিতে।
ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ভারতীয় দল অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করল। ৩০ রানে হার মানল ভারতীয় ব্রিগেড।
ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান অনুজ ক্রিকেটারদের স্পিন খেলার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠান লেখেন, ''টার্নিং উইকেটে স্পিন খেলতে যে দক্ষতা লাগে, তা অবশ্যই কমে গিয়েছে। কিন্তু ভারতের ব্যাটিং পরিষ্কার করে দিয়েছে যে আমরাও নিজেদের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। সফট হ্যান্ড, কব্জির কাজের দক্ষতা কমে গিয়েছে অনেকটাই।''
ভারতের প্রাক্তন ওপেনার ওয়াসিম জাফর সমাধানের উপায় খুঁজেছেন। তিনি বলেন, ''নিউজিল্যান্ড সিরিজের হার থেকে শিক্ষা নিতে পারিনি। এই ধরনের পিচে আমাদের আর প্রতিপক্ষের স্পিনারদের মধ্যে পার্থক্য কমে যায়। আমাদের আবার সেই আগের ভারতীয় পিচে ফিরে যেতে হবে।'' কীভাবে ম্যাচ হারতে হয় দেখিয়ে দিল গৌতম গম্ভীরের ভারত।
ইডেনে ভারতের লজ্জাজনক আত্মসমর্পণ দেখার পরে ক্রিকেটভক্তদের চোখে ভেসে উঠছে ১৯৯৭ সালে ব্রিজটাউনে অনুষ্ঠিত ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট। প্রায় একইরকম পরিস্থিতি ছিল সেবারও। ১২০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারতের ব্যাটিং ধসে গিয়েছিল ৮১ রানে। তখন ভারতীয় ক্রিকেটে শচীন তেণ্ডুলকর, সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড়, মহম্মদ আজহারউদ্দিনদের জমানা। সেই ভারত বার্বাডোজে জিততে পারেনি। ম্যাচ হেরেছিল ৩৮ রানে। ম্যাচ হেরে পিচ বিতর্কে জল ঢাললেন ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। বলে দিলেন, উইকেটে জুজু ছিল না। তবুও কিন্তু ভারতীয় ব্যাটারদের আত্মসমর্পণ করতে হরল। দক্ষতা যে ভারতীয়রা অনেকটাই হারিয়েছে তা প্রমাণিত ইডেনে।
