আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘GOAT’ ইন্ডিয়া ট্যুর। শনিবার মধ্যরাতে কলকাতায় পা রেখেছেন লিওনেল মেসি। মেসিকে দেখতে অত রাতেও কলকাতা বিমানবন্দরে উপচে পড়েছিল ভিড়। আর সকাল থেকেই যুবভারতীর সামনে মেসি ভক্তরা কাতারে কাতারে ভিড় জমিয়েছেন।
এদিকে, মেসির জন্য বিশেষ চমক হুগলির রিষড়ার ফেলু মোদকেরও। ফুটবলের রাজপুত্রের জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ নলেন গুড়ের সন্দেশ। ওই সন্দেশ হচ্ছে আদতে মেসিরই মূর্তি।
মেসি রয়েছেন হায়াত রিজেন্সিতে। সেখানেই চলে যাবে এই মিষ্টি। আর্জেন্টিনা জাতী য় ফুটবল দলে ১০ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামেন মেসি। ২০২২ বিশ্বকাপ জিতেছেন। সেই বিষয়কে মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এই মিষ্টি। আর্জেন্টিনার বিখ্যাত নীল–সাদা জার্সি রয়েছে এই মিষ্টির গায়ে। মূর্তির সামনে রয়েছে ফুটবল। সবুজ গালিচার উপর রয়েছে এই মেসি মিষ্টি।

ফেলু মোদকের বর্তমান কর্ণধার অমিতাভ দে জানিয়েছেন, মেসির জন্য তৈরি করা হয়েছে প্রায় সাড়ে চার কেজি ওজনের এক মহা সন্দেশ। নলেন গুড়ের পাশাপাশি এতে থাকবে উৎকৃষ্ট মানের ছানা, পেস্তা, কেশর–সহ নানা উপাদান। পুরো মিষ্টিটি তৈরি হয়েছে মেসির মূর্তির আকৃতিতে, আর্জেন্টিনার বিখ্যাত নীল–সাদা জার্সি গায়ে। জার্সির নীল রং করা হচ্ছে সম্পূর্ণ ভেষজ উপায়ে–অপরাজিতা ফুলের রং দিয়ে।
অতীতে বিশ্ব ফুটবলের একাধিক কিংবদন্তির জন্য মিষ্টি পাঠিয়েছেন ফেলু মোদক। তবে মেসির আগমনকে ঘিরে উন্মাদনা অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি। আর তা স্বীকারও করলেন অমিতাভ দে।
এর আগে পেলে, মারাদোনা কলকাতায় এলে তাঁদেরও এই প্রতিষ্ঠানের মিষ্টি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। এবার মেসির জন্যও এই উপহার পাঠানো হল ফেলু মোদকের তরফে।
এদিকে, সকাল থেকেই অধিকাংশরই গন্তব্য সল্টলেক স্টেডিয়াম। কলকাতা ডার্বি ছাড়া সচরাচর এই ছবিটা দেখা যায় না। বিধাননগর স্টেশনে নেমেই স্টেডিয়াম–স্টেডিয়াম করে হাঁক শোনা গেল অটোওয়ালা, বাস কন্ডাক্টরদের।

যুবভারতীতে লিও মেসি তাঁর ভক্তদের সঙ্গে দেখা করবেন সকাল ১০.৩০ নাগাদ। তারপর একাধিক অনুষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু ভক্তরা ভিড় করতে শুরু করে দিয়েছেন সকাল থেকেই।
প্রায় ৭টা থেকে যুবভারতীর সামনে লম্বা লাইন। ফ্রি–সিটিং যেহেতু বেশিরভাগেরই সামনে বসার লক্ষ্য থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়েছেন বাড়ি থেকে।
যতটা সামনে থেকে চাক্ষুষ করা যায় বিশ্বকাপজয়ী মেসিকে এই আর কী। বেশিরভাগেরই পরনে আর্জেন্টিনার জার্সি, হাতে ভারতের পতাকা। অনেকে আবার গায়ে চাপিয়েছেন মেসির মুখ আঁকা টি–শার্ট।
