আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত শনিবার আইএসএলের ফিরতি ডার্বিতে মোহনবাগান ১-০ গোলে হারায় ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচ শেষ হয়ে গেলেও রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ যাচ্ছে না লাল-হলুদ সমর্থকদের। গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত ইস্ট-মোহন ম্যাচের পর তীব্র বিতর্কও তৈরি হয়। সেই বিতর্কের জেরে চায়ের পেয়ালায় তুফান উঠেছে। ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁ বলেছেন, দুটো পেনাল্টি পাওয়া থেকে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন।
যে সিদ্ধান্ত নিয়ে সবচেয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেটা হল ইস্টবেঙ্গলের পিভি বিষ্ণুর মারা বল মোহনবাগানের পেনাল্টি বক্সের ভিতরে আপুইয়ার হাতে লাগে কিন্তু রেফারি নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকেন। লাল-হলুদ ফুটবলাররা পেনাল্টির আবেদন করলেও সেদিন রেফারি ইস্টবেঙ্গলের আবেদনে কর্ণপাত করেননি। ম্যাচ চালু রাখেন।
সোমবার এআইএফএফ-এর মুখ্য রেফারিং অফিসার ট্রেভর কেটেল সেই বিতর্কের অবসান ঘটালেন। জানিয়ে দিলেন, বিষ্ণুর মারা বল আপুইয়ার হাতে লাগলেও সেটি হ্যান্ডবল ছিল না। ইস্টবেঙ্গলের ক্রমাগত অভিযোগকে এক কথায় উড়িয়ে দিলেন তিনি।
সাংবাদিক বৈঠকে কেটেল বলেছেন, ''হ্যান্ডবল নিয়ে আমাদের ভুল ধারণা রয়েছে। বল হাতে লেগেছে নাকি হাত বলে লেগেছে, এই বিষয়টা দেখা দরকার আগে। পেনাল্টি বক্সের ভিতরে সংশ্লিষ্ট দলের ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগলে রেফারির মনে প্রশ্ন জাগে সেই ফুটবলারের হাত কি ন্যায্য অবস্থানে (জাস্টিফায়েড পজিশন) ছিল? যদি জাস্টিফায়েড পজিশনে থাকে তাহলে তা হ্যান্ডবল নয়। সেদিনের ম্যাচে এই বিতর্কিত ঘটনার পরে আমি রিভিউ প্যানেলের সদস্যদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। সেখানে প্রাক্তন ফিফা ম্যাচ অফিসিয়াল যেমন রয়েছেন, তেমনই এএফসির বর্তমান রেফারি অ্যাসেসররাও রয়েছেন। তাঁরা খুব ভাল করে সেদিনের ঘটনা দেখার পরে স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে ওটা কখনওই হ্যান্ডবল নয়। এবং রেফারি খেলা না থামিয়ে ম্যাচ চালু রেখে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।''
রেফারিং নিয়ে অভিযোগ করায় ম্যাচের শেষে মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁকে তোপ দাগেন। শুরু হয়ে যায় বাকযুদ্ধ। মোলিনা বলেছেন, ''আমি অনেক কাছে ছিলাম। আমার মনে হয়নি ওটা পেনাল্টি ছিল। ও (অস্কার ব্রুজোঁ) অনেকটা দূরে ছিল, তবুও ওর মনে হয়েছে ওটা পেনাল্টি। হয়তো টিভিতে দেখে ও এমন মন্তব্য করেছে।'' এদিন সেই হ্যান্ডবল বিতর্কে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিলেন ট্রেভর কেটেল।
