ইস্টবেঙ্গল-৪ জর্জ টেলিগ্রাফ-০
(বিষ্ণু-২, সায়ন, মনোতোষ)

আজকাল ওয়েবডেস্ক: একাধিক সুযোগ নষ্ট, পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারলেও ম্যাচ জিততে একটা অর্ধই যে যথেষ্ট, তা প্রমাণ করে দিল ইস্টবেঙ্গল। তাও আবার এক-আধটা গোল নয়। চার-চারটে গোল। ইস্টবেঙ্গল খেলতে শুরু করলে তাদের রোখে কে! এক অর্ধেই গেম ওভার করে দিতে পারেন সায়ন-বিষ্ণুরা। 

দ্বিতীয়ার্ধের ছোট ছোট কয়েকটা স্পেলে বিনু জর্জের ইস্টবেঙ্গল সবুজ ঘাসে যে ছবি আঁকল, তা দেখতেই সমর্থকরা মাঠে যান। এই ইস্টবেঙ্গলকে দেখার জন্য বহুদূর থেকে ছুটে আসা যায়। প্রথমার্ধে গোল না হওয়া, গোলের সুযোগ অপচয়, লাল-হলুদ গ্যালারিতে হতাশা বাড়াচ্ছিল। কিন্তু ম্যাচের শেষে সেই ভূখণ্ডেই তৃপ্তির ঢেকুর। কয়েকটা পরিবর্তন করলেন বিনু জর্জ। আর সেই পরিবর্তগুলোই ম্যাচের গতিপ্রকৃতি বদলে দিয়ে চলে গেল।   

মঙ্গলবার কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গল ৪-০ গোলে হারাল জর্জ টেলিগ্রাফকে। বিরতির সময়ে খেলার ফল ছিল ০-০। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ছবিটা বদলে গেল। বিষ্ণু অবতারে ধরা দিলেন পিভিজোড়া গোল করলেন তিনি। সায়ন ব্যানার্জি ও মনোতোষ মাঝি একটি করে গোল করেন। 

আরও পড়ুন: সুনীল কেন বাদ?‌ খালিদ যা জানালেন চমকে যাবেন

বলতে গোলে দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল ঝড়ে জর্জ টেলিগ্রাফ ছিটকেই গেল। কলকাতা লিগে এখনও পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল যে দুটি ম্যাচ হার মেনেছিল, সেই দুটি ম্যাচ হয়েছিল ব্যারাকপুরে। এদিন সেই মাঠেই লাল-হলুদের জয়জয়কার। ম্যাচ জিতে ইস্টবেঙ্গল গ্রুপ শীর্ষে। 

দ্বিতীয়ার্ধে গুইতে, সায়ন নামার পরই ইস্টবেঙ্গল বদলে যায়। সায় ব্যানার্জি ডান প্রান্ত থেকে তাঁর আগুন ধরানো দৌড় শুরু করেন। পিভি বিষ্ণু চলে যান বাঁ দিকে। আর গুইতে পায়ের কাজ দেখাতে থাকেন।

প্রথম গোলের ক্ষেত্রে বাঁ দিক থেকে বল ভাসিয়েছিলেন গুইতে। ডেভিডের হেড জর্জ গোলকিপার তুহিন দে বাঁচালেও ফিরতি বলে বিষ্ণু গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন। সেই শুরু। তার পর ম্যাচ যত গড়াল, ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের ঝাঁঝও বাড়ল। প্রথম গোলের অব্যবহিত পরেই পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। 

পেনাল্টি বক্সের ভিতরে বিষ্ণুকে অবৈধ ভাবে ফেলে দেওয়া হলে রেফারি পেনাল্টি দেন লাল-হলুদকে। পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি ডেভিড। তুহিন দে বাঁচিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল তারকার শট। তার পরেই ডেভিডকে তুলে নেন বিনু জর্জ। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন মনতোষ মাঝি। লিগের প্রথম ম্যাচে খেলেছিলেন। তার পরে চোটের জন্য আর নামতে পারেননি। এদিন পরিবর্ত হিসেবে নেমেই গোল পেলেন মনোতোষ। সেটি অবশ্য দলের চতুর্থ গোল। তার মাঝে আরও দুটি গোল হয়েছে। সায়ন ব্যানার্জি দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন। ডান প্রান্তে বল ধরে স্টেপ ওভার করে বাঁ পায়ের জোরালো শটে তিনি জর্জের জালে বল জড়ান। তার পরেই সায়নের উদযাপন, এই মাঠ তাঁর। বিষ্ণু দলের তৃতীয় এবং নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন। জোড়া গোল করে ম্যাচের সেরা তিনি-ই। টানা তিনটি ম্যাচে জয় পাওয়ায় গ্রুপ এ-তে ইস্টবেঙ্গলই এখন শীর্ষে।

আরও পড়ুন: কেন টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন?‌ তিন মাস পর কারণ জানালেন রোহিত...