ইস্টবেঙ্গল - ০
মুম্বই সিটি - ০
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয়ের পর আটকে গেল ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার মুম্বই এফসির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল অস্কার ব্রুজোর দল। জেতা ম্যাচে পয়েন্ট খোয়াল লাল হলুদ। তবে চোট আঘাতে জর্জরিত, ভাঙা দল নিয়ে এক পয়েন্টে অসন্তুষ্ট হবেন না ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ। স্কোরলাইন দেখে ম্যাচের গতি প্রকৃতি বোঝা যাবে না। অসংখ্য গোল হতে পারত। দুই দলই ভুরিভুরি সুযোগ পায়। কিন্তু গোল করতে পারেনি। মূলত দুই গোলকিপারের ম্যাচ। তেকাঠির নীচে অনবদ্য প্রভসুখন গিল এবং লাচেনপা। প্রথমার্ধ ইস্টবেঙ্গলের, দ্বিতীয়ার্ধ মুম্বইয়ের। তবে তারমধ্যেও বেশ কয়েকটা সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। যেকোনও দলই ম্যাচ জিততে পারত। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাব। দু'দলের রক্ষণের প্রশংসা করতেই হবে। বিশেষ করে মুম্বইয়ের ডিফেন্ডার তিরির। নব্বই মিনিটের শেষে হয়তো হাত কামড়াবেন দিমিত্রিয়স ডিয়ামানটাকোস। বেশ কয়েকটা সুযোগ পেয়েও বল গোলে ঠেলতে পারেননি। তবে মুম্বইয়ের ডেরা থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফেরা মন্দ নয়। তাও আবার এত প্রতিকূলতা নিয়ে। শেষদিকে আক্রমণের ঝড় তোলে মুম্বই। ইস্টবেঙ্গলের পরিত্রাতা প্রভসুখন। কয়েকটা নিশ্চিত গোল রোখেন। এদিন জিতলে চার নম্বরে উঠে আসতে পারত মুম্বই। কিন্তু ২৮ পয়েন্ট নিয়ে একধাপ ওপরে উঠে ছয়ে থামে। অন্যদিকে ১৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের।
এদিন সামনে ডিয়ামানটাকোস এবং ডেভিডকে রেখে ৪-৪-২ ফরমেশনে দল সাজান অস্কার। এদিনও পরীক্ষার পথে হাঁটেন। রাইট ব্যাকে খেলান নন্দকুমারকে। রক্ষণে হিজাজির জায়গায় হেক্টর ইউস্তে। ম্যাচের শুরুতেই সুযোগ ইস্টবেঙ্গলের। মহেশের শট বাঁচান লাচেনপা। ম্যাচের ১৩ মিনিটে নন্দকুমারের ফিরতি শট ফের রোখেন মুম্বই কিপার। প্রথম ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে গোল লক্ষ্য করে চারটে শট লাল হলুদের। মহেশকে কেন্দ্র করে ইস্টবেঙ্গলের বেশিরভাগ আক্রমণ তৈরি হচ্ছিল। ম্যাচের সেরাও তিনি। অনবদ্য রিচার্ড সেলিসও। প্রথমার্ধেই এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল লাল হলুদের। ডিয়ামানটাকোস দুটো নিশ্চিত গোল মিস করেন। ম্যাচের ৪২ মিনিটে মুম্বইয়ের সবচেয়ে সহজ সুযোগ মিস। ছাংতের পাস থেকে গোল করতে ব্যর্থ বিপিন সিং।
বিরতির আগে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে স্কোরলাইন অন্তত ৩-০ হতে পারত। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে বিষ্ণুর ক্রস থেকে ডিয়ামানটাকোসের হেড বাইরে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই একে অপরের সঙ্গে টক্কর দেয়। গোলের সুযোগ পায় দুই পক্ষই। কিন্তু ভাগ্য ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ছিল না। ডিয়ামানটাকোসের বাঁ পায়ের শট পোস্টে লাগে। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক গোল মিস করেন বিক্রম, বিপিন, ছাংতেরা। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে নিশ্চিত গোল বাঁচান চুংনুঙ্গা। পরাস্ত হয়েছিলেন প্রভসুখন গিল। বিক্রমের শট গোলে ঢোকার মুখে বিপদমুক্ত করেন লাল হলুদের ডিফেন্ডার। এরপরও গোলের সুযোগ পায় দুই দলই। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। স্কোরলাইন গোলশূন্য হলেও ওপেন ফুটবল হয়।
