আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়াল বাংলাদেশে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও। শুক্রবার সাতসকালে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে কলকাতা–সহ পশ্চিমবঙ্গ। জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল বাংলাদেশ। ঘড়ির কাঁটায় তখন সবে সকাল ১০টা পেরিয়েছে। সেই সময় ঢাকার মিরপুরের স্টেডিয়ামে চলছিল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের টেস্ট। ভূমিকম্পের জেরে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ রইল সেই ম্যাচও। শের–ই–বাংলা স্টেডিয়ামে প্লেয়ার ও দর্শকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘরের মাঠে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ৪৭৬ রান করে। সেঞ্চুরি করেন লিটন দাস ও শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম। জবাবে আয়ারল্যান্ড গুটিয়ে যায় ২৬৫ রানে। ম্যাচের তৃতীয় দিনের সকালে আয়ারল্যান্ডের লরকান টাকার ও স্টিফেন ডোহানি জুটি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ বোলাররা সেভাবে তাঁদের বিপদে ফেলতে পারছিলেন না। তখন আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের ৫২.২ ওভার। তখন আচমকাই কেঁপে ওঠে মিরপুরের স্টেডিয়াম। প্রেসবক্স থেকে সাংবাদিকরা দ্রুত নিচে নেমে আসেন। সকলেরই চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ ছিল। বাংলাদেশের হেড কোচ ফিল সিমন্সও জানান, দলের প্রত্যেকে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। দর্শকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তারা নিচে নেমে আসেন। প্রায় তিন মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। মাঠের এক কোণে আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা জড়ো হয়ে দাঁড়ান।
এরপর খেলা শুরু হলে বাংলাদেশেরই লাভ হয়। ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে ডোহানি আউট হন। ওই ওভারেই আরেকটা উইকেট পড়ে। তারপর একের পর এক পতনে ২৬৫ রানে শেষ হয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। উল্লেখ্য, এদিনের ভূমিকম্পের উৎসস্থল বাংলাদেশের নরসিংদীর কাছে, মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। তার প্রভাব পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। এদিন কলকাতায় কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৭। পশ্চিমবঙ্গে কোনও হতাহতের খবর না থাকলেও বাংলাদেশে ৪ জন মারা গিয়েছেন বলে খবর।
