আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিজামের শহরে কেরলকে মাটি ধরিয়ে সন্তোষ ট্রফি ঘরে এনেছে বাংলা। ঘরের ছেলেদের শনিবার জমকালো সংবর্ধনা দিল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের চেতলা অগ্রণী ক্লাব। তিনি আবার সন্তোষ জয়ী বাংলা দলের কোচ সঞ্জয় সেনের বাল্যবন্ধু।
শহরের রাজপথে ঘোড়ার গাড়িতে সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলার ফুটবলাররা। চারপাশে অগণিত মানুষের ভিড়। বাংলার ফুটবল ফের আলোয় উদ্ভাসিত। বাংলার বীরপুত্ররা সম্মানিত হচ্ছেন। তাঁদের সামনে আরও গুরু দায়িত্ব।
এদিন ঘোড়ার গাড়ি চেপেই চেতলা অগ্রণীর মূল মঞ্চে সংবর্ধনা নিতে নামেন রবি হাঁসদারা। তাঁদের স্বাগত জানান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সংবর্ধনা মঞ্চে বাংলার সন্তোষ জয়ী কোচ সঞ্জয় সেন বলেন, ''এই অখ্যাত অনামী ছেলেগুলোই বাংলাকে সন্তোষ এনে দিয়েছে। আমি কেউ নই। ওরাই সব। আর সন্তোষ ট্রফি জেতার পরে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছেলেদের চাকরির বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন। এতে ওদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আরও উঁচুতে ওদের পৌঁছতে হবে।''
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ''সঞ্জয় বলছিল, গরিবের কথা অনুভব করতে পারেন বলেই উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।''
হয়দরাবাদে কেরলকে হারিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর থেকেই রবি হাঁসদা, নরহরি শ্রেষ্ঠারা জনজোয়ারে ভাসছেন। পুলিশে চাকরি দেওয়া হচ্ছে বাংলার ফুটবলারদের। দলের প্রত্যেক ফুটবলারকেই চাকরি দেওয়া হচ্ছে। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, তাঁদের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরের (এএসআই) পদ দেওয়া হচ্ছে। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই, তাঁদের কনস্টেবলের পদ দেওয়া হচ্ছে।
