আজকাল ওয়েবডেস্ক: চেতেশ্বর পূজারার শ্যালক জিৎ পাবারি আত্মঘাতী। তিরিশ বছর বয়সি জিত গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বলেই খবর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তৎক্ষণাৎ পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। ময়নাতদন্তের জন্য সরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর দেহ।
গতবছর জিতের প্রাক্তন বাগদত্তা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। বাগদান বাতিল হয়ে যায়। ঠিক এক বছর পরে আত্মঘাতী হন জিৎ।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন চেতেশ্বর পূজারা। শ্যালকের আত্মঘাতী হওয়ার খবর যখন ছড়িয়ে পড়ে, তখন তিনি ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন। ধারাভাষ্যকার পূজারা কীভাবে ভারতীয়দের অসহায় আত্মসমর্পণ সহ্য করেছেন, কে জানে! তিনি ছিলেন নীরব যোদ্ধা। সেই তিনিই বুট জোড়া তুলে রাখেন আগস্টে।
২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছিল পূজারার। ১০৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেন তিনি। ৭,১৯৫ রানের মালিক তিনি। ১৯টি সেঞ্চুরি ও ৩৫টি হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ২০৬ তাঁর টেস্টে সর্বোচ্চ। পাঁচটি ওয়ানডে খেলেছিলেন। ৫১ রান করেছিলেন তিনি। ঘটনাক্রমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই শেষ টেস্ট ম্যাচ তিনি খেলেন। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শুরু, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই শেষ। রাহুল দ্রাবিড় পরবর্তী সময়ে তিনিই ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘দ্য ওয়াল’। তাঁর ডিফেন্স ভাঙা ছিল কঠিন।
চাপের মুখে একদিকের উইকেট কামড়ে পড়ে থাকতেন তিনি। বিদেশের মাটিতে কঠিন পরিস্থিতিতে পূজারা সবঅর্থেই পাঁচিল হয়ে ধরা দিতেন। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পিছনে পূজারার অবদান ভোলার নয়। ২০২০-২১ মরশুমের ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে গাব্বায় শেষ দিন অজি বোলারদের বিষাক্ত বাউন্সার তাঁর শরীরে আঘাত করেছিল। সেই আঘাত নিয়েও তিনি ব্যাট করে যান। ২১১ বল খেলে ৫৬ রান করেছিলেন পূজারা। হতাশ অজি বোলাররা তাঁর শরীর লক্ষ্য করে বল করতে থাকেন। কিন্তু পূজারা দমবার পাত্র ছিলেন না। এরকম একজন ব্যাটসম্যানের বড় অভাব গম্ভীরের সাজঘরে।
