আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইডেনের পিচ নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। তারমধ্যে ম্যাচ শেষে নিজের করা মন্তব্যে বিতর্ক আরও উস্কে দেন গৌতম গম্ভীর। আড়াই দিনে টেস্ট শেষ হওয়ার পর দাবি করেন, ইডেনের পিচে কোনও জুজু ছিল না। ভারতীয় ব্যাটাররা স্পিনিং ট্র্যাকে খেলতে প্রস্তুত ছিল না। চতুর্থ ইনিংসে ১২৪ রান তাড়া করতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। ৩০ রানে হারে। সাইমন হরমার পার্থক্য গড়ে দেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে তুলে নেন ৮ উইকেট। ২০১০ সালের পর ভারতের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার এটা প্রথম জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনারদের কাছে আত্মসমর্পণ করে ভারতীয় ব্যাটাররা। 

গম্ভীর পিচ নিয়ে কোনও বিরূপ মন্তব্য না করলেও, ক্রিকেট পণ্ডিতদের মধ্যে অনেকেই ইডেনের উইকেটের সমালোচনা করেন। তাঁদের তালিকায় যোগ দিলেন চেতেশ্বর পূজারা। টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচের মতামতকে উড়িয়ে দেন। পূজারা বলেন, 'আমি গৌতি ভাইয়ের সঙ্গে একমত নয়। আমি মনে করি না ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য পিচ দায়ী নয়। ও হয়তো এমনই পরিস্থিতি চেয়েছিল। তবে এই পিচে ব্যাট করা সত্যিই কঠিন। তেম্বা বাভুমা‌ ছাড়া কোনও ব্যাটার ৫০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারেনি। দেখে মনে হয়েছে এই ধরনের পিচে খেলতে অভ্যস্ত নয় ভারতীয় ব্যাটাররা।'

পূজারা জানান, টার্নিং ট্র্যাকে শট বাছাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা ভারতীয় ব্যাটারদের ছিল না। পূজারা বলেন, 'টার্নিং ট্র্যাকে বিভিন্ন ধরনের শট খেলতে হয়। বেশি সুইপ করতে হয়। ইতিবাচক মনোভাব প্রয়োজন। স্কোরবোর্ড চালু রাখতে হয়। ভারত যখন স্পিন সহায়ক উইকেট চায়, আমাদের ব্যাটারদেরও তেমনই প্রস্তুতি নিতে হবে।' প্রাক্তন টেস্ট তারকা মনে করেন, ভুলের জন্যও একাধিক উইকেট হারায় ভারত। পাশাপাশি বাভুমার প্রশংসা করেন। জানান, এইধরনের পিচে কীভাবে রান করতে হয় সেটা দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক দেখিয়ে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে পূজারা বলেন, 'কিছু উইকেট ব্যাটিংয়ের ভুলের জন্য গিয়েছে। তবে তারমানে এই নয় যে এই পিচে ব্যাট করা সহজ ছিল। তেম্বা বাভুমা‌ দেখিয়ে দিয়েছে, এমন উইকেটেও রান করা সম্ভব। ট্র্যাডিশনাল ডিফেন্সের ওপর ভরসা না করে বিভিন্ন শট খেলেছে। এটা টেস্ট ম্যাচের উইকেটের মতো ছিল না।' পূজারা জানান, এমন কঠিন পিচে কিছুটা আগ্রাসন দেখানো উচিত ছিল ব্যাটারদের। স্পিনারদের আধিপত্য কাটিয়ে বেরোতে কিছুটা ঝুঁকি নেওয়া উচিত ছিল। স্পিনারদের বিরুদ্ধে ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ভারতীয় ব্যাটারদের গড় ছিল ৫৩.৩। ২০২০ থেকে যা কমে হয়েছে ৩৩.৮। যা চিন্তার বিষয়।