আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফরাসি বিপ্লব আর ঘটল না। প্যারিস সাঁ জাঁ-র স্বপ্ন থমকে গেল। ওয়াটারলুতে হেরে গিয়েছিলেন নেপোলিয়ান। ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে প্যারিস সাঁ জাঁ-র দৌড় থেমে গেল নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।
যে পিএসজি অশ্বমেধের ঘোড়া ছোটাচ্ছিল, তারাই চূর্ণবিচুর্ণ হয়ে গেল ইংল্যান্ডের ক্লাব চেলসির কাছে। কথায় বলে, শেষ ভাল যার সব ভাল তার। শেষটা আর ভাল হল কোথায় প্যারিস সাঁ জাঁ-র!
চেলসি ৩-০ গোলে মাটি ধরাল পিএসজি-কে। প্রথমার্ধেই খেলার ফলাফল হয়ে গিয়েছিল। পিএসজি-র হাত ফস্কে ম্যাচ চলে গিয়েছিল চেলসির সাজঘরে। দ্বিতীয়ার্ধে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারল না পিএসজি। ক্লাব বিশ্বকাপের রং নীল। প্রথমার্ধে জোড়া গোল করেন চেলসি তারকা কোল পালমার। জোয়াও পেদ্রোকে দিয়ে গোল করান তিনি। রাতটা কোল পালমারের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন ফাইনালে। প্রথমার্ধের শেষে মঞ্চে পারফর্ম করেন মার্কিন র্যাপার দোজা ক্যাট ও কলম্বিয়ান গায়ক জে বালভিন।
COLE. PALMER. STRIKES. ????
— DAZN Football (@DAZNFootball)
CHELSEA ARE IN FRONT! ????????
Into the bottom corner like a cold-blooded finisher ????????
Catch the @FIFACWC Final | July 13 | Free | https://t.co/i0K4eUtwwb | #FIFACWC #TakeItToTheWorld #CHEPSG pic.twitter.com/EmJzPAPlCJTweet by @DAZNFootball
আরও পড়ুন: সবে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ, এর মধ্যেই নয়া রেকর্ড গড়ে ফেলল শুভমান গিলের ভারতীয় দল
নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন ৮১ হাজার দর্শক। তাঁরা হতবাক। তাঁদের কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকছে সব। চেলসির সমর্থকরাও কি বিস্মিত হননি! তিন-তিনটি গোলে হার। তার উপরে দশ জনে নেমে যাওয়া পিএসজি-র কপালে এমন হেনস্থা অপেক্ষা করছিল, তা কি তারাও জানতেন!

৮৫ মিনিটে চেলসির লেফট ব্যাক মার্ক কুকুরেয়ার চুল ধরে তাঁকে টেনে ফেলে দেওয়া হয়। লাল কার্ড দেখেন পিএসজির মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস। ততক্ষণে অবশ্য যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। হতাশা থেকেই কুকুরেয়াকে চুল টেনে ফেলে দেন নেভেসকে। শুরু থেকেই যে চেলসি ঝাঁপিয়ে পড়বে পিএসজি-র উপরে, তা অনুমান কেউই অনুমান করতে পারেননি।
প্রথম ৮ মিনিটের মাথায় পালমার চৈতাবনী দিয়ে যান পিএসজি-র রক্ষণে। ২২ ও ৩০ মিনিটে পালমারের জোড়া গোল। তাঁর দুটো গোল একই ধরনের। চেলসির রাইট ব্যাক মালো গুস্তোর কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন। এগিয়ে যায় চেলসি। প্রথম গোলের আট মিনিট মিনিট পরেই পালমারের দ্বিতীয় গোল।
ডান প্রান্ত দিয়ে দৌড়ে পিএসজির রক্ষণে কাঁপন ধরিয়ে পালমার গোল করেন। পিএসজির গোলরক্ষক দোন্নারুম্মা এক্ষেত্রেও বাঁচাতে পারেননি। পোদ্রোর গোলটিও পালমারেরই তৈরি করা। তাঁর ডিফেন্স চেরা পাস ধরে পেদ্রো দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করেন।

পিএসজি যে গোলের সুযোগ পায়নি তা নয়। তারাও একাধিকবার চেলসির গোলমুখে হানাদারি চালায়। চেলসির গোলকিপার রবার্ট স্যানচেজ হাফ ডজন সেভ করেন। তবে ম্যাচের শেষের দিকে উত্তেজনা তৈরি হয়।
বিশেষ করে ভিএআরের মাধ্যমে নেভেস লাল কার্ড দেখার পর তা সংক্রামিত হয় পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে, দোন্নারুম্মা ও চেলসির ফুটবলারদের মধ্যে। কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের ফুটবলাররা। এই সময়ে চেলসির পেদ্রোর কাঁধ ধরে কথা বলতে দেখা গিয়েছে পিএসজি কোচ এনরিকেকে।

ক্লাব বিশ্বকাপে নামার আগেই প্যারিস সাঁ জাঁ জিতে নিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লিগ ওয়ান ও ফ্রেঞ্চ কাপ। পিএসজির সামনে সুযোগ ছিল ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে দারুণ সফল ভাবে মরশুম শেষ করার। কিন্তু শেষটা আর রঙিন হল না পিএসজির। চেলসির কাছে প্রথমার্ধেই ম্যাচ হেরে বসল প্যারিসের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব।
আরও পড়ুন: পায়ে ফুটবল, গলায় স্টেথো ঝোলানোর লক্ষ্য, স্বপ্নের পিছনে ধাওয়া করছেন রেলওয়ে এফসি-র হরেরাম
