আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমস করতে চায় ভারত। এই মেগা প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিকভাবে বিড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। আর তাতে এবার অনুমোদন দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেখানে আমেদাবাদকে আয়োজক শহর হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে।


বলা হয়েছে, আয়োজক হিসাবে এই শহর বিশ্বমানের ক্রীড়া পরিকাঠামো বহন করতে প্রস্তুত। তাছাড়াও এখানকার ক্রীড়া সংস্কৃতিও উন্নত মানের। আন্তর্জাতিক স্তরের ইভেন্ট পরিচালনার অভিজ্ঞতার জন্যও পরিচিত এই শহর। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল আয়োজিত হয়েছিল এই শহরেই। এমনকী গ্রুপ লিগে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচও হয়েছিল আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। সেই কারণেই আয়োজক শহর হিসাবে আমেদাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে বলে মনে করছে সবাই।


প্রসঙ্গত, ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমসে ৭২টি দেশ অংশ নিতে পারে বলে অনেকের মত। এর ফলে বিরাট সংখ্যক অ্যাথলিট, কোচ, কর্মকর্তা, সমর্থক, মিডিয়া কর্মীরা ভারতে আসবেন। এতে দেশের পর্যটন, হসপিটালিটি, বাজার, পরিবহণ খাতে অর্থনৈতিক গতি বৃদ্ধি পাবে। কমনওয়েলথ গেমস কেবল ক্রীড়া উৎসবই নয়, এতে ক্রীড়া বিজ্ঞান, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্রডকাস্টিং, আইটি এবং জনসংযোগ–সহ বহু খাতে কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১০ সালে শেষবার কমনওয়েলথ গেমসের আসর বসেছিল ভারতে। সে বছর দিল্লিতে আয়োজিত হয়েছিল ইভেন্টটি। এবার গেমস আয়োজনের দায়িত্ব ভারত পেলে তা হবে আমেদাবাদে। কারণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমতি দিয়ে দিয়েছে।

 

আরও পড়ুন:‌ শুভমানের পরিবর্তে দলীপে উত্তরাঞ্চলের নেতৃত্বে কে?‌ নির্বাচকদের নজরে এই তরুণ ব্যাটার...


কিছুদিন আগে কমনওয়েলথ স্পোর্টসের এক প্রতিনিধিদল আমেদাবাদে পরিকাঠামো তদারকি করতে এসেছিল। সেই দলে ছিলেন ডিরেক্টর অফ গেমস ড্যারেন হল। গুজরাটে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকেও অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আরও বড় প্রতিনিধিদল ফের আসতে চলেছে ভারতে। এখন প্রশ্ন হল, ভারতে ২০৩০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের আসর বসবে কি না, তা কবে জানা যাবে? এর উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত। কমনওয়েলথ স্পোর্টসের জেনারেল অ্যাসেম্বলি গ্লাসগো থেকে ঘোষণা করবেন সে কথা।

জানা গেছে, কমনওয়েলথ গেমসের খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০৩০–এর কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করতে আগেই আগ্রহ দেখিয়েছিল ভারত। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাও দিল অনুমতি। আমেদাবাদকে ভেন্যু হিসেবে দেখানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কানাডা ইতিমধ্যেই নাম তুলে নেওয়ায় ভারতের সম্ভাবনা আরও বেড়েছে। তাদের লড়াই নাইজেরিয়ার সঙ্গে। এ ছাড়া আয়োজনের প্রস্তাব দিতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকাও।

এর আগে ২০১০ সালে ভারতে যখন কমনওয়েলথ গেমসের আসর বসেছিল, তখন খেলাধুলো ছাপিয়ে শিরোনামে এসেছিল অব্যবস্থা এবং আর্থিক দুর্নীতি। অ্যাথলিটস ভিলেজ, স্টেডিয়াম–সহ একাধিক পরিকাঠামো তৈরিতে অনেক দেরি হয়, বাজেট বেড়ে যায়, নেহরু স্টেডিয়ামে ফুটব্রিজ ভাঙায় অনেক শ্রমিক আহত হন। এ সব দেখে অনেক খেলোয়াড় নাম তুলে নিয়েছিলেন। পাশাপাশি বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল সে বার। আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান সুরেশ কালমাদিকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল। স্কটল্যান্ড, কানাডার মতো দেশ অব্যবস্থা দেখে দেরিতে ক্রীড়াবিদদের পাঠিয়েছিল।