আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসিন নকভিকে নতুন অস্ত্রে আক্রমণ শানাতে তৈরি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (‌বিসিসিআই)‌। একই সঙ্গে তিনি পাকিস্তানের মন্ত্রী, আবার পাক বোর্ডের প্রেসিডেন্টও। সঙ্গে এসিসি সভাপতি। এত ভূমিকায় একসঙ্গে কীভাবে থাকতে পারেন নকভি? আইসিসির বৈঠকে প্রশ্ন তুলতে চলেছে ভারতীয় বোর্ড।


আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ক্রিকেট বোর্ডের কার্যকলাপে সরাসরি তৃতীয় কোনও সংস্থা হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এমনকী সরকারও নয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকা নকভি কীভাবে পাক বোর্ড বা এসিসির সভাপতি হতে পারেন। এক্ষেত্রে তো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাজে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। শুক্রবার দুবাইতে আইসিসির বৈঠকে সেই অভিযোগই তুলতে চলেছে বিসিসিআই। শোনা যাচ্ছে, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা বোর্ড এ বিষয়ে বিসিসিআইয়ের পাশে দাঁড়াতে পারে। 


প্রসঙ্গত, নকভি একই সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। এশিয়া কাপে ভারত জিতলেও তারপর যে নাটক হয়েছে, তার জন্য মূল দায়ী নকভিই। ভারত এখনও ট্রফি পায়নি। গোটা বিষয়টা আইসিসি’র মিটিংয়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। কিন্তু কার সামনে তুলবেন? নকভি নিজেই সেই মিটিংয়ে হাজির হতে চাইছেন না। বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কারণে নকভি আইসিসি’র মিটিংয়ে উপস্থিত হতে পারবেন না। কিন্তু আসলে নকভি যে সেই বৈঠক এড়াতে চাইছেন সেটা কারও অজানা নয়। তবে এটা ঘটনা, নকভি না এলেও পিসিবি’র তরফ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি, কোন বিশেষ রাজনৈতিক কারণে আসতে পারছেন না তিনি। তবে নকভি না এলেও পিসিবি’র চিফ অপারেটিং অফিসার সুমের সৈয়দ মিটিংয়ে থাকবেন। তাঁর সামনেই নকভিকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করতে চাইছে বিসিসিআই। সে জন্য একাধিক অভিযোগপত্র প্রস্তুত। এশিয়া কাপে নকভির একাধিক নাটক। সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলা হবে ভারতীয় বোর্ডের তরফে। তার উপর আবার নকভির রাজনৈতিক পরিচয়। দুই অভিযোগে গদি বাঁচাতে বেশ চাপে পড়তে পারেন পাক মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, আইসিসি চেয়ারম্যানের নাম কিন্তু জয় শাহ।