আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইডেনের পর গুয়াহাটিতেও লজ্জার মুখে টিম ইন্ডিয়া। তৃতীয় দিনের শেষে ৩১৪ রানে পিছিয়ে ঋষভ পন্থরা। হার শুধু সময়ের অপেক্ষা। ২৫ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারের হাতছানি। শেষবার ১৯৯৯-২০০০ সালে দুই ম্যাচের সিরিজ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারও সেদিকেই এগোচ্ছে। গুয়াহাটিতে প্রথম ইনিংসের শেষে ২৮৮ রানে পিছিয়ে ছিল ভারত। ফলো অন করাতেই পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ভারতের পিচে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করার কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি প্রোটিয়ারা। বরং, টিম ইন্ডিয়ার ওপর রানের পাহাড় চাপিয়ে দেওয়া লক্ষ্য। তৃতীয় দিনের শেষে বিনা উইকেটে ২৬ রান দক্ষিণ আফ্রিকার। যতই ঘরের মাঠ হোক না কেন, এই জায়গা থেকে জয়ে ফেরা এককথায় অসম্ভব। 

২০০১ সালে একবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফলো অনের মুখে পড়লেও সেই জায়গা থেকে টেস্ট জেতে ভারত। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা কামব্যাক। রাহুল দ্রাবিড় এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের ব্যাটে ভর করে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। কিন্তু বর্তমান ভারতীয় দলে কোনও দ্রাবিড় বা লক্ষ্মণ নেই। তাই বলাই যায়, এই জায়গা থেকে প্রত্যাবর্তন করে টেস্ট জেতা দুস্কর। প্রথম ইনিংসে ৪৮৯ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২০১ রান শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। প্রথম দিনের শেষে বিনা উইকেট হারিয়ে ৯ রান ছিল টিম ইন্ডিয়ার। কিন্তু তৃতীয় দিন শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়। প্রথম সেশনে চার উইকেট হারায় টিম ইন্ডিয়া। বাকি দুই সেশন মিলিয়ে ৬ উইকেট। একমাত্র সফল যশস্বী জয়েসওয়াল। ৫৮ রান করে আউট হন। প্রথম উইকেটে ৬৫ রান যোগ করে যশস্বী-রাহুল জুটি। এটাই ভারতের সেরা পার্টনারশিপ। শেষদিকে কিছুটা চেষ্টা করেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ইডেনে তিন নম্বরে নামানো হয়েছিল তাঁকে। গুয়াহাটি টেস্টে আট নম্বরে নেমে ৪৮ রান করেন। কুলদীপের সঙ্গে জুটি বেঁধে অষ্টম উইকেটে ৭২ রান যোগ করেন ওয়াশিংটন। নয়তো আরও দুরবস্থা হত ভারতের। ভারতীয় অলরাউন্ডার আউট হওয়ার পরপরই শেষ হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস। 

ইডেনে স্পিনিং ট্র্যাকে ব্যাটিং ব্যর্থতার মুখে পড়ে ভারতীয় ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। কিন্তু গুয়াহাটির পিচে জুজু নেই। তাসত্ত্বেও তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং। এদিন তিন নম্বরে নামানো হয় সাই সুদর্শনকে, চারে নামেন ধ্রুব জুরেল। কিন্তু দু'জনেরই ব্যর্থ। ১৫ রান করেন সাই। খাতাই খুলতে পারেনি ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার। ১২২ রানে ৭ উইকেট হারায় ভারত। আরও লজ্জার মুখে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ওয়াশিংটনের ৪৮ রান দুশোর গণ্ডি পার করতে সাহায্য করে। গুয়াহাটিতে এখনও দু'দিন বাকি। তৃতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে ১০ উইকেট। ভারতের সামনে রানের পাহাড় তৈরি করতে চার প্রোটিয়ারা। মিরাকেল ছাড়া সিরিজ হার বাঁচানোর রাস্তা নেই টিম ইন্ডিয়ার‌ সামনে।