আজকাল ওয়েবডেস্ক: তাঁর কাজল কালো চোখ নিয়ে কম চর্চা হয়নি। ঝুলন গোস্বামীর রীতিমতো ফ্যান তিনি। বাংলাদেশের পেসার জাহানারা আলম এবার সেদেশের ক্রিকেটে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি করে দিয়েছেন। মহিলাদের বিশ্বকাপ হওয়ার পরে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্য়োতির বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়েছেন জাহানারা। বাংলাদেশ অধিনায়কের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ এনেছেন জাহানারা। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং মন গড়া বলে উল্লেখ করেছে। 

বাংলাদেশের সংবাদপত্র 'কালের কণ্ঠ'-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাহানারা বলেছেন, ''
জ্যোতি প্রচুর মারধর করে জুনিয়রদের। এই বিশ্বকাপের সময়েও জুনিয়ররা আমাকে এ রকম জানিয়েছে, না বাবা, এটা আর করব না। তাহলে আবার থাপ্পর খেতে হবে। কয়েকজন আমাকে বলেছে, ‘কালকে মার খেয়েছি।’ দুবাই সফরের সময়ও এক জুনিয়রকে রুমে ডেকে নিয়ে থাপ্পর মেরেছে।'' 

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে শেষবার বাংলাদেশের হয়ে খেলেন জাহানারা। ৫২টি ওয়ানডে ও ৮৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন জাহানারা। জাতীয় দলে এখন আর তিনি নিয়মিত নন। 
জাহানারা বিস্ফোরণে কেঁপে গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ''
আসলে আমি একা নই, বাংলাদেশ দলের সবাই কমবেশি ভুক্তভোগী। একেক  জনের ভোগান্তির  জায়গাটা একেকরকম। উন্নত সুযোগ-সুবিধা দু'-একজন পায় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুধু একজনই পায়।''

জাহানারার নিশানায় জ্যোতি। বাংলাদেশ মহিলা দলের অধিনায়কের বিরুদ্ধে সিনিয়র ক্রিকেটার জাহানারার অভিযোগ, '' ক্ষমতা পেয়ে জ্যোতিও এর অপব্যবহার শুরু করে। প্রথমে শুরু করে সিনিয়রদের নাম ধরে ডাকা। সালমাকে ‘সাল্লু’ আর আমাকে ‘এই জাহান’ বলে ডাকত। আমি অবশ্য অবাক হইনি। কারণ জ্যোতি ছোটবেলা থেকেই উল্টোপাল্টা কাজ করত। মারামারি করে হাসপাতালে যাওয়ার রেকর্ডও আছে।'' 

খবরের ভিতরের খবর ফাঁস করেন জাহানারা। ইন্টারভিউতে তিনি বলেন, ''তখন আবাহনীতে খেলত, শরিফার সঙ্গে লেগেছিল সেই সময়ে। মারামারির এক পর্যায়ে শরিফা তলপেটে লাথি মেরে বসে জ্যোতির। ও পড়ে গিয়েছিল।  অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা শুরু হয়েছিল। অপারেশন করতে হয়েছিল জ্যোতিকে।'' জ্যোতির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনেন জাহানারা। তিনি বলেন, ''জ্যোতি অনেক সময়ে ফিটনেস টেস্টই দেয় না। ফিটনেস সেশনও করে না। সহকারী কোচকে (নাসিরুদ্দিন ফারুক) নিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করে বেশি। একজন আরেক জনকে ‘ব্যাক’ করে।'' 

হরমনপ্রীতের নেতৃত্বে ভারত বিশ্বকাপ জিতেছে। সোনার মেয়েদের নিয়ে চলছে উদযাপন। আর প্রতিবেশি দেশে সিনিয়র ক্রিকেটার অভিযোগ এনেছেন দেশের অধিনায়কের বিরুদ্ধে। সেই অধিনায়ক জুনিয়রদের মারধর করেন, থাপ্পর কষিয়ে দেন, সিনিয়রদের নাম ধরে ডাকেন। জাহানারা আলমের অভিযোগে বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট এখন ফুটছে।