আজকাল ওয়েবডেস্ক: দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড ট্র্যাভিস হেডের। ইংল্যান্ডকে হারাতে অস্ট্রেলিয়ার লাগল মাত্র দু'দিন। অসম্ভবকে এভাবেই সম্ভব করতে পারেন হেড। ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের স্বপ্ন ভেঙেছিলেন তিনি। সেই হেড এদিন তাণ্ডবলীলা চালালেন। সেই ঝড়ে উড়ে গেল ইংল্যান্ড।
ট্র্যাভিস হেড রেকর্ড গড়লেন। রেকর্ড তৈরি হল অন্যভাবেও। পারথে প্রথম তিন ইনিংসেই রান-হীন ওপেনিং জুটি। টেস্ট ক্রিকেটে এমন ঘটনা আর নেই। চতুর্থ ইনিংসে অবশ্য তেমন কিছু ঘটল না।
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে রান তোলার আগেই ওপেনার জ্যাক ক্রলিকে হারায়। অস্ট্রেলিয়াও প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে রান তোলার আগেই হারায় জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে।
অর্থাৎ পার্থ টেস্টে প্রথম তিন ইনিংসেই ওপেনিং জুটি রান করতে পারেনি। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম।
আবার ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জ্যাক ক্রলির উইকেট হারায়।
ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি দ্রুত শেষ হওয়ার পিছনে
মিচেল স্টার্কের অবদানই বেশি।
জ্যাক ক্রলি প্রথম ইনিংসে আউট হন ৬ বল খেলে। ওয়েদারাল্ড আবার দুই বলেই আউট হন। ক্রলি দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ বলেই ফিরে যান। চতুর্থ ইনিংসে অবশ্য অজিরা ওপেনিং জুটিতে ৭৫ রান করে।
ইংরেজদের ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে হেড ধরা দিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। টেস্টে তিনি ওপেন করেন না। তিনি কিপিং করেন। গতিশীল পিচে অনভ্যস্ত পজিশনে নেমে শুরুতে একটু সময় লাগলেও হেড চলতে শুরু করলেন কিছুক্ষণ পরেই। পিচ, গতিশীল ডেলিভারির সঙ্গে সন্ধি করতে তাঁর লাগল সামান্য কিছু সময়। তার পরে চলল ধ্বংসলীলা।
৮৩ বলে ১২৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস দেখল ক্রিকেটবিশ্ব। ৬৯ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড হয়ে রইল হেডের এই সেঞ্চুরি। হেডের জন্যই অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জিতে নিল মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে। এই অস্ট্রেলিয়া সব কিছু করতে পারে।
পারথে রেকর্ড গড়লেন হেড। প্রথম তিন ইনিংসেই রানহীন ওপেনিং জুটি। এমন রেকর্ডও তৈরি হল পারথে।
