আজকাল ওয়েবডেস্ক: এই জন্যই তারা অস্ট্রেলিয়া! অপ্রতিরোধ্য। এখনও পর্যন্ত মহিলাদের ক্রিকেট বিশ্বকাপে একটি ম্যাচেও হার মানেনি অজিরা। বৃহস্পিতবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অজিদের ইনিংস শেষ হল ৩৩৮ রানে।
রান তাড়া করতে নামার আগে ম্যাচটা কি ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে গেল? এই রান তাড়া করে জেতাটা কঠিন। তবে অসম্ভব কিছু নয়। কারণ খেলাটা ক্রিকেট। যা মহান অনিশ্চয়তার খেলা বলে পরিচিত। মুম্বইয়ে বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির লাল চোখ থাকলেও মহিলাদের বিশ্বকাপে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিল অস্ট্রেলিয়া। তার পরে দ্রুতগতিতে রান তুলল। অস্ট্রেলিয়ার স্ট্র্যাটেজি খুবই পরিষ্কার ছিল। প্রথমে ব্যাট করে রানের পাহাড় তৈরি করে ভারতের কাজটা কঠিন করে দেওয়া। পরে বল করতে নেমে স্মৃতি মান্ধানা-হরমনপ্রীত কৌরদের উপরে চাপ তৈরি করা।
আরও পড়ুন: ২০১৮ সাল থেকে রয়েছেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের নতুন হেড কোচ অভিষেক নায়ার...
অজি মহিলারা এদিন কালো আর্মব্যান্ড পরে খেলতে নেমেছেন। মেলবোর্নের ১৭ বছরের ক্রিকেটার বেন অস্টিন প্রায়ত হন। নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন তিনি। প্র্যাকটিস চলাকালীন তাঁর ঘাড়ে বল লাগে। দ্রুত তাঁকে হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু অস্টিনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ফিল হিউজের স্মৃতি উসকে দিল বেন অস্টিনের প্রয়াণের খবর। ১৭ বছরের অস্টিনকে স্মরণ করেই হিলিরা মাঠে নামেন। আর মাঠে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৩৩৮ রান করল। শুরুতেই ভারতের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ক্যাচ ফেললেন হিলির। জীবন ফিরে পেয়েও হিলি অবশ্য বড় রান করতে পারেননি।
মাত্র ৫ রানে তিনি বোল্ড হন। অজিদের রান তখন ২৫। শুরুতে উইকেট হারালে চাপ এসে পড়ে যারা ব্যাট করছে তাদের উপরে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা যে অন্য ধাতুতে গড়া। লিচফিল্ড ও পেরি ১৫৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ভারতীয় বোলারদের উপরে নির্দয় হয়ে ওঠেন তাঁরা। উইকেট চলে গেলেও রানের গতি কমেনি অস্ট্রেলিয়ার।
লিচফিল্ডকে একবার আউট দিয়ে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। সাজঘরের দিকে হাঁটা লাগান তিনি। কিন্তু দেখা যায় বল লিচফিল্ডের ব্যাটে লেগে বল মাটিতে লাগে। সিদ্ধান্ত বদলান আম্পায়ার। শেষমেশ লিচফিল্ড থামেন ১১৯ রানে। ৯৩ বলের ইনিংসে সাজানো ছিল ১৭টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা। ১৮০ রানে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় উইকেটটি যায়।
এর পরে বেথ মুনি ও পেরি চল্লিশ রান জোড়েন। যে গতিতে অস্ট্রেলিয়া রান তুলছিল, সেই গতিতে রাশ টানতে সক্ষম হন ভারতের বোলাররা। বেথ মুনি ২২ বলে ২৪ রান করে আউট হন। সাদারল্যান্ড (৩) রান পাননি। পেরি ব্যক্তিগত ৭৭ রানে রাধা যাদবের বলে বোল্ড হন। সেই সময়ে অজিদের রান ছিল পাঁচ উইকেটে ২৪৩। গার্ডনার (৬৩) ও ম্যাকগ্রা (১২) রান আউট হন। একটা সময়ে মনে হয়েছিল তিনশোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াকে আটকে রাখা যাবে। কিন্তু সেই অস্ট্রেলিয়া ৪৯.৫ ওভারে করল ৩৩৮ রান। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে শ্রী চরণী ও দীপ্তি শর্মা ২টি করে উইকেট নেন। ক্রান্তি, আমনজ্যোৎ কৌর ও রাধা যাদব একটি করে উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: নাইট শিবিরে যাবেন রোহিত? হিটম্যানের ভবিষ্যৎ জল্পনার মধ্যে মুম্বই-এর পোস্ট, কী জানাল তারা? ...
