আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি কার্যত দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। প্রথম তিন টেস্টে কোনও কিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী করতে পারেনি তারা।

ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রায় চার বছরের মেয়াদে এটাকেই নিজের সবচেয়ে কঠিন সময় বলে বর্ণনা করেছেন বেন স্টোকস। এই সফর যেন ক্রমাগত নিম্নমুখী।

খারাপ থেকে আরও খারাপ, এমনকি ‘সবচেয়ে খারাপ’-এর সংজ্ঞাটাও বারবার বদলে যাচ্ছে ইংল্যান্ডের জন্য। মাঠ এবং মাঠের বাইরে, একটার পর একটা ধাক্কা আগের ব্যর্থতাকে আরও কঠিন করে তুলেছে ইংলিশ ক্রিকেটারদের জন্য।

ছন্দ, আত্মবিশ্বাস এবং ফলাফল সবই হাতছাড়া হওয়ায় ইংল্যান্ড শিবিরে আশার আলো ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে বড়দিনেই ভাগ্য বদলের আশায় বুক বাঁধছে ইংল্যান্ড।

তার ওপর মাঠের বাইরের অতিরিক্ত মদ্যপানের খবর এই সফরের ওপর আরও কালো ছায়া ফেলেছে। যদিও অ্যাশেজ সিরিজ কার্যত ইংল্যান্ডের নাগালের বাইরে চলে গেছে, তবুও বেন স্টোকস ও তাঁর দলের সামনে এখনও অনেক কিছু বাজি রয়েছে।

চলতি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) চক্রে প্রতিটি ম্যাচই এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ডব্লিউটিসি পয়েন্ট টেবিলে সপ্তম স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের কাছে জয় আর বিলাসিতা নয়, বরং অপরিহার্য।

এই পতন থামিয়ে আবার ওপরে ওঠার দীর্ঘ ও কঠিন পথচলার প্রথম ধাপ হিসেবেই প্রতিটি ম্যাচকে দেখছে দল। মেলবোর্ন টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড।

চোটে পড়া জোফ্রা আর্চার এবং ছন্দহীন অলি পোপের জায়গায় দলে এসেছেন জ্যাকব বেথেল ও গাস অ্যাটকিনসন। চলতি সিরিজে পোপের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত হতাশাজনক।

গড় প্রায় ২০ রেখে মাত্র ১২৫ রান করায় টিম ম্যানেজমেন্ট দলে ব্যালেন্স ফিরিয়ে আনতে বিকল্প পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। অন্যদিকে, জেকব বেথেলের অন্তর্ভুক্তি দলে কিছুটা নমনীয়তা এনে দিয়েছে।

মূলত একজন ব্যাটার হলেও তিনি বাঁ-হাতি স্পিনও করতে পারেন, যা বিশেষজ্ঞ স্পিনারবিহীন এই দলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

বেথেল ও উইল জ্যাকসের ওপরই স্পিন বোলিংয়ের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যা ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণকে এখনও ঝুঁকির মধ্যেই রাখছে।

অন্যদিকে, চোটের কারণে আর্চার বাকি সিরিজ থেকে পুরোপুরি ছিটকে গেছেন, যা ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে। এবার নজর থাকবে গাস অ্যাটকিনসনের দিকে।

প্রথম দুই টেস্টে মাত্র তিন উইকেট নেওয়ার পর জশ টাংয়ের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছিল তাঁকে। মেলবোর্নে ইংল্যান্ড আশাবাদী, দলে এই পরিবর্তনগুলোই তাদের জয়ে ফিরতে সাহায্য করবে।