আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ হেডিংলে টেস্টের দুই ইনিংসেই শতরান। প্রথম ইনিংসে শতরান করে ডিগবাজি খেয়ে আনন্দ করেছিলেন ঋষভ পন্থ। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি শতরান করার পর সুনীল গাভাসকার আরও এক বার তাঁকে ডিগবাজি খাওয়ার অনুরোধ করেন। তা শোনেননি পন্থ। তা দেখে সানি নিজেই ভেবেছিলেন ‘ব্যাকস্ট্যান্ড’ (মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে হাত ও পায়ের ভরে পেট উপরের দিকে তোলা) করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদলান ৭৫ বছরের গাভাসকার। তার কারণ নিজেই জানিয়েছেন তিনি।


হেডিংলেতে দ্বিতীয় ইনিংসে যখন পন্থ শতরান করেন তখন ধারাভাষ্য দেওয়ার ঘরের বাইরের বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন গাভাসকার। সেখান থেকেই হাতের ইশারায় পন্থকে ডিগবাজি খেতে বলেন তিনি। কিন্তু পন্থ তা করেননি। তিনি অন্য এক ভঙ্গিতে (চোখের উপর আঙুল রেখে) উল্লাস করেন। তার পরে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় নিজের ইচ্ছার কথা জানান সানি।


গাভাসকার জানান, এই বয়সে তিনি ডিগবাজি খেতে পারবেন না। কিন্তু অন্য একটা ব্যায়াম তিনি করতে পারেন। সানি বলেন, ‘‌আমাকে স্বীকার করতে হবে যে এখানে এসে ডিগবাজি খাওয়ার চেষ্টা করিনি। কারণ, এই বয়সে সেটা আমি পারব না। কিন্তু আমি ব্যাকস্ট্যান্ড করার চেষ্টা করেছিলাম।’‌ ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার জানান, অল্প বয়সে তিনি হামেশাই ‘ব্যাকস্ট্যান্ড’ করতেন। কিন্তু বয়স বাড়ায় তা করতে পারছেন না। সানির কথায়, ‘‌আগে খুব সহজে ব্যাকস্ট্যান্ড করতাম। এখানে এসেও চেষ্টা করেছিলাম। পারলে সকলের সামনেই করে দেখাতাম। কিন্তু পারিনি। তাই সিদ্ধান্ত বদল করি।’‌ 


পন্থ অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, ছোটবেলায় স্কুলে তিনি জিমন্যাস্টিক্স করতেন। তাই ডিগবাজি খাওয়া তাঁর অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। তাই শতরানের পরেও সে ভাবেই উল্লাস করেছেন। কিন্তু তাঁর মাথায় আরও দু’রকম উল্লাসের ভাবনা ছিল। তার মধ্যেই এক রকম উল্লাস তিনি করেছেন দ্বিতীয় ইনিংসে। পন্থের ইনিংসের প্রশংসায় সানি বলেছেন, ‘‌কোনও ভারতীয় ভাল খেললে সব সময় আনন্দ হয়। দেশের ক্রিকেটের প্রতি আবেগ থেকেই সেটা হয়। পন্থ দুই ইনিংসেই শতরান করেছে। ইংল্যান্ডের মাটিতে তা সহজ নয়। ধৈর্যের পাশাপাশি আগ্রাসী ব্যাটিংও করেছে। আশা করছি গোটা সিরিজ ধরে ওর এই ফর্ম চলবে।’‌