আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের বিরুদ্ধে গুয়াহাটির টেস্ট চলাকালীন ব্যবহৃত ‘গ্রোভেল’ শব্দটি নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের জন্যই দলের ঐতিহাসিক সাফল্যের জৌলুস হারিয়ে গেছে।

শনিবার একদিনের সিরিজে ভারতের বিরুদ্ধে হারের পর এমনটাই স্বীকার করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হেড কোচ শুক্রি কনরাড।

ভারতের কাছে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ হারার পর তিনি বলেন, তাঁর ব্যবহার করা শব্দটি যে দক্ষিণ আফ্রিকার সংবেদনশীল ইতিহাসে বর্ণবৈষম্যের প্রেক্ষাপট বহন করে, তা বিবেচনায় আনতে না পারায় তিনি অনুতপ্ত।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কনরাড বলেন, ‘পুনর্বিবেচনায় আমি বলতে চাই আমার উদ্দেশ্য কখনোই খারাপ ছিল না, কিংবা অহংকার দেখানোও নয়। শব্দচয়ন আরও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে করতে পারতাম, অবশ্যই। আমি বলতে চেয়েছিলাম ভারতকে কঠোর লড়াই করে জিততে হবে। কিন্তু শব্দটি নানা ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি করেছে।’

কোচ স্বীকার করেন, এই বিতর্কের ফলে খেলোয়াড়দের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের বদলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন তিনি নিজেই। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

‘আমাদের টেস্ট দলের অন্যতম ভিত্তি হলো নম্রতা। কোচ কে, তা মানুষ জানুক এটাই আমি চাই না। আলোচনায় থাকা উচিত খেলোয়াড়রা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বিষয়টা আমার দিকে ঘুরে গেল,’ বলেন কনরাড।

তিনি জানান, ভবিষ্যতে শব্দ ব্যবহারে আরও সতর্ক থাকবেন। ‘যেকোনো শব্দই ভিন্ন প্রেক্ষাপটে টেনে নেওয়া যায়। যে দিকে বিষয়টা মোড় নিল, তা দুঃখজনক। তবে উদ্দেশ্য যে খারাপ ছিল না, সেটা পরিষ্কার।’

ওয়ানডে সিরিজ হারের প্রসঙ্গে কনরাড বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে দুই ফরম্যাটেই জয়ের বিরল সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। যা শেষবার ঘটেছিল ১৯৯০ সালের দশকে।

ভারতের ব্যাটিং লাইনআপের সিনিয়র সদস্যরা, বিশেষত প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ বিরাট কোহলি এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা, দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ ব্যাটারদের জন্য বড় শিক্ষা রেখে গেছেন।

কনরাড বলেন, ‘আমাদের তরুণরা কাছ থেকে দেখেছে বিশ্বসেরারা কেমন। বিরাট ও রোহিত যে মানদণ্ড দেখালেন, তা ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান শিক্ষা।’

তিনি যোগ করেন, সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচে তৃতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছে। বল হাতে ভাল শুরু করেও ভারতীয় ব্যাটারদর ওপর চাপ তৈরি করতে পারেনি।

প্রোটিয়া কোচের কথায়, ‘আমাদের আরও বেশি রান তোলা দরকার ছিল। যাতে বোলাররা আরও বেশি করে লড়াই করতে পারত। ভারতের মতো দলের বিরুদ্ধে সামান্য ভুলও বড় মূল্য চুকিয়ে দেয়।’