আজকাল ওয়েবডেস্ক: গ্রাম্য বিবাদের জেরে গুলি চালানোর ঘটনায় গুরুতর আহত হলেন এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার মধুরকুল গ্রাম পঞ্চায়েতের মুরারীপুর–দামোসপাড়া এলাকায়। গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম কালু হালদার (২৫)। বাড়ি মুরারীপুর গ্রামে। গুরুতর আহত যুবক বর্তমানে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ডোমকল থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মাইনুল শেখ নামে ওই গ্রামেরই এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত যুবকের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে শনিবার তাকে আদালতে পেশ করা হচ্ছে। কী কারণে এই গুলি চালানোর ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড গরম পড়ার কারণে কালু হালদার নামে ওই যুবক গ্রামের আরও কিছু যুবকের সঙ্গে বাড়ির কাছে দামোস বিলের মাঠে বসে গল্প করছিলেন। সেই সময় কয়েকটি বাইকে কিছু যুবক এসে হঠাৎই তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি জুড়ে দেয় এবং কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে নিজেদের সঙ্গে থাকা দেশি বন্দুক থেকে তিন রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় কালু হালদার গুলিবিদ্ধ হন।
পিয়ার আলি মণ্ডল নামে ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আচমকা টিপু শেখ, সালাম শেখ সহ আরও কয়েকজন যুবক এসে কোনও কারণ ছাড়াই তর্ক জুড়ে দেয়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে ওই দুই যুবক নিজেদের সঙ্গে থাকা বন্দুক থেকে তিন রাউন্ড গুলি চালায়। একটি গুলি কালু হালদারের হাতে লাগে। গুলি চালাতে দেখে বাকি যুবকরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।’
তাঁর দাবি, ‘যে দুই যুবক গুলি চালিয়েছে তারা বাম–কংগ্রেস জোটের সমর্থক। আর আমরা তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করি। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যই সম্ভবত ওই দুই যুবক গুলি চালিয়েছে। আমাদের সঙ্গে তাদের পুরনো কোনও শত্রুতাও ছিল না।’
মধুরকুল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান শামসুজ্জোহা মণ্ডল বলেন, ‘আহত যুবক তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে ডোমকলে এয়ারগানের গুলিতে প্রাণ হারায় মুসলিমা খাতুন নামে বছর এগারোর এক কিশোরী। তার পর শুক্রবার রাতে ফের শুটআউটে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
